অনলাইন প্রতারণা চক্রের কবলে পড়েই আত্মঘাতী হয়েছেন ‘তারক মেহতা কা উলটা চশমা’ ধারাবাহিকের লেখক অভিষেক মাকওয়ানা । এমনই দাবি তাঁর ভাইয়ের। অভিযোগ, রীতিমতো ব্ল্যাকমেইল করা হত লেখককে।
২৭ নভেম্বর অভিষেকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। তাঁর ঘর থেকে একটি স্যুইসাইড নোটও উদ্ধার হয়। তাতে নিজের আর্থিক সমস্যার কথা লিখে গিয়েছিলেন ধারাবাহিকের লেখক। এক সংবাদমাধ্যমে অভিষেকের ভাই জেনিস জানান, তিনি লেখকের সমস্ত ই-মেল খুঁটিয়ে দেখেছেন। ইতিমধ্যেই টাকা চেয়ে একাধিক ফোন এসেছে। যার মধ্যে একটি নম্বর বাংলাদেশের, অন্য একটি নম্বর মায়ানমারের।
অভিষেকের ই-মেল থেকেই জেনিস জানতে পারেন একটি ‘ইজি লোন’ অ্যাপ থেকে সামান্য টাকা ধার নিয়েছিলেন তিনি। বেশি সুদের সেই লোন মেটানোর পর নাকি আর লোন নিতে চাননি অভিষেক। কিন্তু সেই সংস্থা থেকে অল্প অল্প করে ক্রমাগত টাকা পাঠানো হয়েছে। আর তাতে চড়া সুদ যোগ করা হয়েছে। প্রায় ৩০ শতাংশ। জেনিসের অনুমান, সেই টাকা চেয়েই হয়তো অভিষেককে ব্ল্যাকমেইল করা হচ্ছিল। চারকোপ থানায় অভিষেকের মৃত্যুর মামলা নথিভূক্ত হয়েছে। থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, এই বিষয়ে পরিবার তাঁদের কাছেও অভিযোগ জানিয়েছে। টাকার দাবিতে আসা ফোনের নম্বরগুলিও দেওয়া হয়েছে। কীভাবে এই প্রতারণা চক্রের ফাঁদে ‘তারক মেহতা কা উলটা চশমা’র লেখক পড়লেন? এর নেপথ্যে আন্তর্জাতিক প্রতারণা চক্র রয়েছে কি না? সেই সমস্ত বিষয়ের খোঁজ চালানো হচ্ছে। অভিষেকের মেলও চেক করা হবে। উল্লেখ্য ২০০৮ থেকে অর্থাৎ প্রায় ১২ বছর ধরে হিন্দি টেলিভিশনের পর্দায় চলছে ‘তারক মেহতা কা উলটা চশমা’ ধারাবাহিক। তাতে লেখক হিসেবে বেশ জনপ্রিয় ছিলেন অভিষেক।
More Stories
আগামীর রূপরেখার সূচনা করলো “বেহালা নাগরিক মঞ্চ”
জমজমাট সমকালীন সংস্কৃতির মোহনামুখী নাট্যউৎসব
বড়দিনে সেজে উঠল এলগিন রোড