নিজস্ব সংবাদদাতা : সারা দেশে না হলেও কয়েকটি রাজ্যের কিছু নির্দিষ্ট জেলায় গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়ে গেছে, বললেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন। ভারতে প্রথম করোনার সংক্রমণ প্রকাশ্যে আসে এবছরের জানুয়ারিতে। তারপর থেকে নয়মাস সময় অতিক্রান্ত হয়েছে। এই প্রথমবারের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে স্বীকার করে নেওয়া হল দেশে করোনার গোষ্ঠী সংক্রমণের কথা। দিন কয়েক আগেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে ছিলেন তাঁর আশঙ্কার কথা। তিনি বলেন ”কেউ স্বীকার করুক আর নাই করুক। সংক্রমণ হাওয়া থেকে ছড়াচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গে করোনার গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়ে গিয়েছে।” পুজোর মুখে ভয়াবহ আশঙ্কার কথা শোনান মুখ্যমন্ত্রী। শারদোত্সব শুরুর আগেই বাংলায় করোনার গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়ে গিয়েছে বলে জানান তিনি। মমতা বলেন, ”প্রত্যেককে ভীষণ সতর্ক থাকতে হবে। সবাইকে বলছি, উত্সবের মরশুমে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। বাতাসে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। পশ্চিমবঙ্গে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন হচ্ছে।”এই বিষয়ে এদিন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, কয়েকটি ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চলে গোষ্ঠী সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে পরক্ষণেই তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন রাজ্যের বিভিন্ন পকেট থেকে গোষ্ঠী সংক্রমণের খবর পাওয়া গিয়েছে। এটি সারা দেশে ঘটছে না।’জুলাই মাসে কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন তাঁর রাজ্যে গোষ্ঠী সংক্রমণের বিষয়টি নিশ্চি জুলাই-আগস্ট মাসে বিজেপি শাসিত অসমের সরকারও সরাসরি না বললেও আকারে-ইঙ্গিতে গোষ্ঠী সংক্রমণের বিষয়টি মেনে নিয়েছিল। এতদিনে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে বিষয়টি স্বীকার করা হল। গোষ্ঠী সংক্রমণ হল এমনই একটা অবস্থা, যখন সংক্রমণ বিস্তার লাভ করে সেখানে কার থেকে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে তার কোনও খোঁজ পাওয়া যায় না। অর্থাত্ উত্স এবং সংক্রমণের চেন এ- কোনও প্রমাণ পাওয়া যায় না। দেশে ক্রমে লাফিয়ে বেড়ে চলেছে করোনা সংক্রমণ। শেষ ২৪ ঘন্টায় করোনা আক্রান্ত হলেন ৬১ হাজার ৮৭১ জন। এই সময়ের মধ্যে আরও মৃত্যু হয়েছে ১০৩৩ জনের। দেশে নতুন সংক্রমণের জেরে মোট আক্রান্তের পরিসংখ্যান দাঁড়িয়েছে ৭৪ লক্ষ ৯৪ হাজার ৫৫২ জন
New Hopes New Visions
More Stories
খেলার মাঠ থেকে যুদ্ধক্ষেত্র প্রতিরোধ গড়েছে ইউক্রেন
এক নজরে বিপিন লক্ষণ রাওয়াত
এবার আইপিএলে সঞ্জীব গোয়েঙ্কা, ২০২২ এ ১০ টি দল