জেলের ভিতরে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করছিলেন অর্ণব গোস্বামী। অন্য একজনের মোবাইল থেকে এই কাজ করছিলেন তিনি। নজরে আসতেই তাঁর ঠিকানা বদলের সিদ্ধান্ত নিলো মহারাষ্ট্র পুলিশ। যদিও পুলিশ জানিয়েছে, অর্ণবের সবকটি মোবাইলই তাদের হেফাজতে রয়েছে। ৪ নভেম্বর গ্রেফতারের দিনই সেগুলি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। গত বুধবার গ্রেপ্তার করা হয় অর্ণবকে। তাঁকে আলিবাগে এক মিউনিসিপ্যাল স্কুলের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রাখা হয়েছিল। তদন্তকারী অফিসার ইনস্পেকটর জামিল শেখের কথায়, ”গত শুক্রবার সন্ধ্যায় আমরা জানতে পারি অর্ণব সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাকটিভ রয়েছেন। তবে অন্য কারও মোবাইল ফোন ব্যবহার করছেন তিনি। কেননা ওঁর ফোন আমরা বাজেয়াপ্ত করে নিয়েছিলাম ওঁর বাড়ি থেকেই। এই মামলার তদন্তকারী অফিসার হিসেবে এরপরই আমি আলিবাগের জেল সুপারিটেন্ডেন্টকে এবিষয়ে তদন্ত রিপোর্ট পাঠাতে বলি। পরে আমরা সিদ্ধান্ত নিই ওঁকে রবিবারই তালোজা জেলে পাঠানোর বিষয়ে।”এদিন যখন অর্ণবকে প্রিজন ভ্যানে করে অলিবাগ থেকে তালোজার উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, সেই সময় তিনি অভিযোগ করেন অলিবাগের জেল অধিকর্তা তাঁকে হেনস্থা করেছেন। আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার মামলায় গ্রেফতার করা হয় রিপাবলিক টিভির এডিটর ইন চিফ অর্ণব গোস্বামী। তারপরেই তাঁকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠানো হয়। পুলিশ অবশ্য তাঁকে নিজেদের হেফাজতে চেয়েছিল। কিন্তু আলিবাগ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট সুনয়না পিঙ্গলে তাঁর অর্ডারে জানান, রায়গড় পুলিশ সঠিক কারণ দেখাতে পারেনি, কেন তারা অর্ণবকে পুলিশ হেফাজতে চাইছে। শুক্রবার অন্তর্বর্তী জামিনের জন্য আবেদন করেছিলেন রিপাবলিক টিভির এডিটর অর্ণব গোস্বামী। শনিবার দুপুরে সেই শুনানি হয় আদালতে। কিন্তু শনিবারও জামিন পাননি তিনি। তাঁর এই অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদনের রায় সংরক্ষিত করে রেখেছে আদালত। ফলে এখনই মুক্তি পাচ্ছেন না তিনি।
Report by Mitali Ghosh
Reported on – 09/11/2020
New Hopes New Visions
More Stories
আসুন বেহালায় ,দর্শন করুন মা বৈষ্ণদেবীর মন্দির
শেষ হল রাজ্য খাদি মেলা , মেলায় বিক্রি প্রায় ৬ কোটি
খাদি মেলার শেষ রবিবারে জমজমাট ভীড় , আজ শেষ দিন