নিজস্ব সংবাদদাতা : পি কে, চুনীর পর এ বার চলে গেলেন নিখিল নন্দীও। ৮৮ বছর বয়স হয়েছিল তাঁর। বার্ধক্যজনিত কারণে অসুস্থই ছিলেন কিছুদিন। সেপ্টেম্বরে করোনাও হয়েছিল। তবে, সুস্থ হয়ে বাড়িও ফিরেছিলেন। কিন্তু এ বার আর লড়াই করতে পারলেন না। নাগেরবাজারে নিজের বাড়িতে প্রয়াত হলেন নিখিল। রেখে গেলেন স্ত্রী ও এক পুত্র ও এক কন্যাকে। পুত্র সমীর অবশ্য বলছেন, করোনার প্রভাবে বাবার শরীরে জোর ছিল না, সারাক্ষণ বিছানায় শুয়ে থাকতেন তিনি। তারপর বারবার হাসপাতাল যাওয়া ও বাড়িতে ফেরাতে একেবারেই কাহিল হয়ে গিয়েছিলেন। চলে গেলেন ফুটবলার নিখিল নন্দী প্রবাদপ্রতীম কোচ বাঘা সোমের হাত ধরে উত্থান নিখিলের। রেলের হয়েই যে কারণে খেলেছেন সারা কেরিয়ার। নিখিল নন্দীরা চার ভাই ছিলেন, সবাই ফুটবল খেলতেন। এমনকি সেজ ভাই সুনীল নন্দীও ছিলেন অলিম্পিয়ান। সুনীল বাবু ১৯৪৮ সালের অলিম্পিক খেলেছিলেন। ভারতীয় ক্রিকেটে যেমন অমরনাথ পরিবার ছিল, তেমনি বাংলা ফুটবলে নন্দী পরিবারে সবাই ফুটবলার ছিলেন। ১৯৫৬ সালে মেলবোর্ন অলিম্পিকে ভারতীয় দল চতুর্থ হয়েছিল। সেই দলের মিডফিল্ডার ছিলেন তিনি। নিখিল নন্দীর অধিনায়কত্বে পি কে বন্দ্যোপাধ্যায় রেল দলে খেলেছেন। ১৯৫৮ সালে পিকে ব্যানার্জি, নিখিল নন্দীর রেল কলকাতা লিগে প্রথম ও শেষবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। পিকে যেমন ১২ গোল করেছিলেন, নিখিল তেমনই ডিফেন্সিভ মিডিও হিসেবে বারবার আটকে দিয়েছিলেন মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল, মহামেডানের মতো বড় টিমগুলোকে। আশি হয়ে গিয়েও কেউ শিক্ষার্থিদের ফুটবল শেখাচ্ছেন, এমনটা মনে হয় নিখিল বাবুর ক্ষেত্রেই ঘটেছে। তিনি বাড়িতে বসে থাকতে পারতেন না। প্রতিদিন সকাল সাতটা বাজলেই চলে যেতেন দমদম সেন্ট্রাল জেলের মাঠে। খুদেদের ফুটবলের পাঠ দিতে। এখন সেই মাঠ শূন্য , মুখে হুইসেল নিয়ে আর কাউকে দেখা যাবে না দাঁড়িয়ে থাকতে।
Report by জয়ন্ত চক্রবর্তী
Reported on – 30/12/2020
More Stories
বিরাটের জন্য আবেগঘন পোস্ট অনুষ্কার
একেই বলে ‘লিডিং ফ্রম দ্য ফ্রন্ট’
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নতুন জার্সি ভারতের , কিনতে পারেন আপনিও