নিজস্ব সংবাদদাতা : গত সাড়ে পাঁচ দশকের মধ্যে কোনও প্রধানমন্ত্রী আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে যোগ দেননি। শেষবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে যোগ দিয়েছিলেন লালবাহাদুর শাস্ত্রী ,১৯৬৪ সালে। এএমইউ-এর শতবর্ষের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে আরও একবার ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস’ শ্লোগান তুললেন মোদি। ধর্মনিরপেক্ষতা ও উন্নয়ন, মূলত এই দু’টি বিষয়ের ওপরে এদিন জোর দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, সরকার গরিবদের জন্য যে প্রকল্পগুলি গ্রহণ করেছে, তাঁর সুফল পাচ্ছে সব মানুষ। এখানে ধর্মের ভিত্তিতে কোনও ভেদাভেদ করা হচ্ছে না। মোদীর মতে, দেশের প্রগতি ও উন্নয়নের স্বার্থে আমাদের মতাদর্শগত পার্থক্য দূরে সরিয়ে রাখা উচিত। তাঁর কথায়, ‘আমরা যে ধর্মেই জন্মগ্রহণ করি না কেন, আমাদের ব্যক্তিগত আশা-আকাঙ্খার সঙ্গে জাতীয় স্বার্থের মেলবন্ধন ঘটাতে হবে। সমাজের বিভিন্ন অংশের মধ্যে মতাদর্শগত পার্থক্য থাকতেই পারে। কিন্তু দেশের উন্নয়নের কাছে তা তুচ্ছ।’ মোদির দাবি, ‘মুসলিম মহিলাদের শিক্ষার জন্য বিশেষ নজর দিচ্ছে সরকার। গত ৬ বছরে ১ কোটি মুসলিম মহিলাকে বৃত্তি দেওয়া হয়েছে।’ প্রধানমন্ত্রী বলছেন, ‘স্বচ্ছ ভারত যোজনার আওতায় সব স্কুল-কলেজে নতুন টয়লেট তৈরি হওয়ায় মুসলিম মেয়েদের মধ্যে স্কুলছুটের সংখ্যা কমেছে।’ প্রধানমন্ত্রী ভাষণে এদিন উঠে আসে তিন তালাক প্রথার কথাও। তাঁর দাবি, ১০০ বছর আগে এএমইউয়ের হাত ধরে যে আধুনিক মুসলিম সমাজ গঠনের কাজ শুরু হয়েছিল, তিন তালাক প্রথা বাতিল করে এই সরকার সেই সংকল্পকেই এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে।’
New Hopes New Visions
More Stories
খেলার মাঠ থেকে যুদ্ধক্ষেত্র প্রতিরোধ গড়েছে ইউক্রেন
এক নজরে বিপিন লক্ষণ রাওয়াত
এবার আইপিএলে সঞ্জীব গোয়েঙ্কা, ২০২২ এ ১০ টি দল