নিজস্ব সংবাদদাতা : একই সময়ে ঢিল ছোড়া দূরত্বে তিনটি জমায়েত। অভিযোগ। পাল্টা অভিযোগ। শনিবার সকালে এমনই পরিস্থিতি দেখল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর। শান্তিনিকেতনের ছাতিমতলায় সকাল ৯টা নাগাদ বিশ্বভারতীর কর্তৃপক্ষের তরফে রাস্তা ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে প্রথম অবস্থান-বিক্ষোভটি হয়। উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী , অন্যান্য আধিকারিক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মীরা ছিলেন এই কর্মসূচিতে। গত ২৮ ডিসেম্বর বোলপুরের গীতাঞ্জলি প্রেক্ষাগৃহে প্রশাসনিক বৈঠকের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, কাচমন্দির থেকে কালিসায়র মোড় পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার দীর্ঘ যে রাস্তাটি ২০১৭ সালে বিশ্বভারতীর হাতে দেওয়া হয়েছিল, তা সরকার ফিরিয়ে নিয়ে রাজ্য পূর্ত দফতরের হাতে তুলে দেবে। মুখ্যমন্ত্রীর ওই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয় কর্তৃপক্ষের অবস্থান বিক্ষোভে। প্রায় একই সময় দ্বিতীয় বিক্ষোভটি শুরু হয় ছাতিমতলার অদূরে। বিশ্বভারতী ক্যাম্পাসের ঠিক বাইরে রাস্তার উপর। বিশ্বভারতীর রাজনীতিকরণ করা হচ্ছে এই অভিযোগ তুলে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন ছাত্রছাত্রীদের একাংশ। তাঁরা অভিযোগ তোলেন, কেন্দ্রের শাসকগোষ্ঠীর মদতে বিশ্বভারতীতে দলীয় রাজনীতির অনুপ্রবেশের প্রক্রিয়া চলছে। সেখানে পড়ুয়াদের বিক্ষোভে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে নিরাপত্তা কর্মীদের একাংশের বিরুদ্ধে। ফলে এলাকায় সাময়িক উত্তেজনা দেখা দেয়। তৃতীয় বিক্ষোভস্থল বিশ্বভারতীর উপাসনাগৃহ। আয়োজক স্থানীয় ব্যবসায়ী সমিতি। তাদের অভিযোগ, গত শীতের পৌষমেলার সময় স্টল করার জন্য বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ যে ফেরতযোগ্য অর্থ জমা নিয়েছিলেন, তা এখনও ফেরত দেওয়া হয়নি। এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘‘গত বছরের পৌষমেলার পরে করোনা আবহে আমরা প্রবল আর্থিক সঙ্কটে
পড়েছি। এ বারের শীতে অতিমারির কারণে মেলা বাতিল হয়েছে। তবুও আমাদের টাকা ফেরত দেয়নি বিশ্বভারতী। তাই আমরা বিক্ষোভে সামিল হয়েছি।’’
Report by নিজস্ব সংবাদদাতা
Reported on – 10/01/2021
More Stories
” লক্ষ্মীবারে ” যা ঘটল শহরে , এক নজরে
নিজাম থেকে এসএসকেএমে গেলেন কেষ্ট মন্ডল
দিনভর নজর নিজামে, সিবিআই দফতরে অনুব্রত