নিজস্ব সংবাদদাতা : ‘দ্য প্রেসিডেন্সিয়াল ইয়ারস’-এ কংগ্রেসের ভরাডুবির জন্য সোনিয়া গান্ধি ও মনমোহন সিংকে দায়ী করে গিয়েছেন প্রণব মুখোপাধ্যায়। ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসেই প্রকাশ পাবে প্রণব মুখোপাধ্যায়ের অভিজ্ঞতা নির্ভর বইয়ের শেষ খণ্ড ‘দ্য প্রেসিডেন্সিয়াল ইয়ার্স’। সম্প্রতি ওই বইয়ের কিছু অংশ প্রকাশ্যে এসেছে।শুক্রবার ছিল প্রয়াত রাষ্ট্রপতির ৮৫ তম জন্মদিন। ওইদিনই প্রকাশ্যে এল ‘দ্য প্রেসিডেন্সিয়াল ইয়ার্স’-এ লেখা প্রণব মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্য। সেখানে উল্লেখ, ‘কংগ্রেসের অনেক সদস্যই মনে করেছিলেন যে ২০০৪ সালে আমি প্রধানমন্ত্রী হলে ২০১৪-র ভরাডুবি এড়ান যেত। যদিও আমি তাতে বিশ্বাস করি না। আমি বিশ্বাস করি যে আমার রাষ্ট্রপতি হওয়ার পরই কংগ্রেস রাজনৈতিকভাবে দিক ভ্রান্ত হয়ে পড়েছিল। সোনিয়া গান্ধী দলের সব দিক সামলাতে পারছিল না। সংসদে বেশিরভাগ সময়ই ডঃ মনমোহন সিং অনুপস্থিত থাকায় সাংসদদের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক রাখতে ব্যর্থ হয়েছিলেন তিনি। যার দরুন ফলাফল খারাপ হয়েছে।’ এই বইয়ে প্রাক্তন ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর তুলনাও টানা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। যে দু’জনের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা হয়েছিল প্রণব মুখোপাধ্যায়ের। একজন মনমোহন সিং, অপরজন নরেন্দ্র মোদি । সূত্রের খবর, প্রণববাবু লিখেছেন,”আমার মনে হয় প্রধানমন্ত্রী ও তার প্রশাসনের কাজের উপর দেশের সামগ্রিক স্থিতির ছবিটা ধরা পড়ে। একটি সরকারের ক্ষমতা চ্য়ুত হওয়ার দায়ও প্রধানমন্ত্রীর উপর বর্তায়। ” মনমোহন সিংয়ে জোটধর্ম রক্ষার তাগিদ, তাঁর সরকার পরিচালনায় প্রভাব ফেলেছিল বলেও লিখেছেন প্রণববাবু। সেই জায়গায় নরেন্দ্র মোদি প্রথম ভাগে সরকার চালাতে গিয়ে এক নিরঙ্কুশ শৈলী তুলে ধরেছেন। গত ৬ বছর ধরেই লাগাতার শক্তিক্ষয় হয়ে চলেছে কংগ্রেসের। সদ্য বিহার বিধানসভা ভোটের ফল সহ অন্যান্য রাজ্যেও খারাপ ফল হয়েছে দলের। দলের বিশ্রী ফলাফলের জন্য শীর্ষ নেতৃত্বকেই দায়ী করেছেন বহু কংগ্রেস শীর্ষ নেতা। যা নিয়ে দলের অন্দরেই বিতর্ক তুঙ্গে। প্রায়ত প্রণববাবুর লেখা বই সেই বিতর্ক আরও উসকে দিতে পারে বলেই মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।
New Hopes New Visions
More Stories
খেলার মাঠ থেকে যুদ্ধক্ষেত্র প্রতিরোধ গড়েছে ইউক্রেন
এক নজরে বিপিন লক্ষণ রাওয়াত
এবার আইপিএলে সঞ্জীব গোয়েঙ্কা, ২০২২ এ ১০ টি দল