নিজস্ব সংবাদদাতা : কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনায় দৈনিক সংক্রমণের বাড়বৃদ্ধি কমার লক্ষণ নেই। মঙ্গলবার কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় পুজোর পরও দৈনিক সংক্রমণ প্রায় ৯০০। তবে সুস্থতার সংখ্যাও বৃদ্ধি পাওয়ায় সক্রিয়ের সংখ্যা কমছে খানিকটা। এটুকুই যা স্বস্তি। কলকাতায় করোনা সক্রিয়ের সংখ্যা এখনও সাত হাজারের উপরে। উত্তর ২৪ পরগনায় করোনা সক্রিয়ের সংখ্যা সাত হাজারের সামান্য কম করোনায় শুধু কলকাতায় প্রাণ হারিয়েছেন ২১৩৯ জন। আর উত্তর ২৪ পরগনায় মৃতের সংখ্যা ১৫০৮। রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে নবান্নে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যসচিব নারায়ন স্বরূপ নিগাম, স্বরাষ্ট্রসচিব হরেকৃষ্ণ দ্বিবেদী, অর্থসচিব মনোজ পন্থ, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প দফতরের প্রধান সচিব রাজেশ পান্ডে প্রমুখরা। ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে সেই বৈঠকে যোগ দেন রাজ্যের সব জেলাশাসক এবং সংশ্লিষ্ট দফতরের আধিকারিকেরাও। সেই বৈঠকে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা হয়। ঠিক হয়, আরও মাস্ক তৈরি করা হবে। সেলফ হেল্প গ্রুপের মাধ্যমে তা তৈরি করা হবে। রাজ্যের কোনও মানুষ যেন মাস্কবিহীন অবস্থায় না থাকেন, তার জন্য মাস্ক তৈরিতে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প দফতরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে এবার ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গেও রাজ্য প্রশাসনের আলোচনা শুরু হয়েছে কোভিডের চিকিত্সার জন্য। এতে হাসপাতালগুলিতে কোভিড রোগী ভর্তি হওয়ার চাপ অনেকটাই কমে যাবে ও হাসপাতালের চিকিত্সক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর থেকেও চাপ কমবে। অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে সাংসদ ডা. শান্তনু সেন জানিয়েছেন, দেখা যাচ্ছে শতকরা ৮৫ শতাংশ কোভিড রোগীকে তাঁদের বাড়িতে রেখেই সুচিকিত্সা দেওয়া সম্ভব। সাধারন চিকিত্সকদের এই বিষয়ে কিছু বাড়তি প্রশিক্ষণ দিলেই তাঁরা এইসব রোগীকে যথাযথ পরামর্শ দিয়েই তাঁকে মারণ ভাইরাসের আওতা থেকে সুস্থ করে তুলতে পারবেন। সেই কারনে ঠিক হয়েছে ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনসের যত কার্যালয় রয়েছে এই রাজ্যে সেখানে এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে স্থানীয় চিকিত্সকদের।
New Hopes New Visions
More Stories
আসুন বেহালায় ,দর্শন করুন মা বৈষ্ণদেবীর মন্দির
শেষ হল রাজ্য খাদি মেলা , মেলায় বিক্রি প্রায় ৬ কোটি
খাদি মেলার শেষ রবিবারে জমজমাট ভীড় , আজ শেষ দিন