নিজস্ব সংবাদদাতা : ঘুষ নিয়ে বেআইনিভাবে একটি সংস্থাকে সরকারি কাজের বরাত পাইয়ে দেওয়ার জেরে ক্ষমতা হারালেন পেরু’র প্রেসিডেন্ট মার্টিন ভিজকারা। তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে ক্ষমতাচ্যুত করার পক্ষে রায় দেন পেরুর জাতীয় সংসদের বেশিরভাগ সদস্য।গত সেপ্টেম্বর মাসে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধির মধ্যেও লাতিন আমেরিকার এই দেশটিতে প্রেসিডেন্টকে ক্ষমতাচ্যুত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়। কিন্তু, সেসময় সংসদে ইমপিচমেন্ট -এর প্রক্রিয়া শুরু হলেও সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের ভোট পাওয়া যায়নি। তার ফলে ওই মার্টিনকে ক্ষমতাচ্যুত করার প্রক্রিয়াটি সাময়িকভাবে থমকে যায়। করোনার কারণে দেশের অর্থনীতি যখন খুব বাজে পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে তখন তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা এই পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা করেছিলেন মার্টিন ভিজকারাও। এই ধরনের কাজকর্মের ফলে দেশের ক্ষতি হবে বলেও সতর্ক করেছিলেন।পেরুর বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ভিজকারার বিরুদ্ধে অভিযোগ, দেশের দক্ষিণাঞ্চলীয় মোকুগুয়া প্রদেশের গভর্নর থাকাকালীন ৬ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার ঘুষের বিনিময়ে একটি সংস্থাকে সরকারি কাজের বরাত পাইয়ে দিয়েছিলেন। যদিও বার বার সেই অভিযোগ খারিজ করে আসছিলেন তিনি।কিন্তু, শেষ রক্ষা হল না। দেশটির সংসদের ১০৫ জন সদস্য প্রেসিডেন্ট ভিজকারাকে ইমপিচমেন্ট করার পক্ষে ভোট দেন। বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন মাত্র ১৯ জন সদস্য। আর ভোটদানে বিরত ছিলেন চারজন সদস্য।বরখাস্ত হওয়ার পরেই ভিজকারা সাংবাদিকদের জানান, ‘সংসদে তাঁর বিরুদ্ধে য়ে ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব পাশ হয়েছে, তাকে যথাযোগ্য সম্মান জানিয়ে শিগগিরই প্রেসিডেন্ট ভবন ছেড়ে চলে যাবেন। ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব পাশের বিরুদ্ধে কোনও আইনগত পদক্ষেপ করবেন না।’
New Hopes New Visions
More Stories
খেলার মাঠ থেকে যুদ্ধক্ষেত্র প্রতিরোধ গড়েছে ইউক্রেন
এক নজরে বিপিন লক্ষণ রাওয়াত
এবার আইপিএলে সঞ্জীব গোয়েঙ্কা, ২০২২ এ ১০ টি দল