নিজস্ব সংবাদদাতা : দলেই আছেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। তৃণমূল ছাড়ার পর ৪৮ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই সিদ্ধান্ত বদল করলেন পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক। কলকাতায় সুরুচি সংঘে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে স্পষ্ট জানান, তিনি বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ছেড়েও কোথাও যাবেন না। তৃণমূলেই থাকবেন।বৃহস্পতিবার একে একে সব পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন জিতেন্দ্র। এমনকী তৃণমূলের প্রাথমিক সদস্যপদও ছেড়ে দিয়েছিলেন। তারপর থেকেই তাঁর বিজেপিতে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। জল্পনা চলছিল, মেদিনীপুরে অমিত শাহের সভায় উপস্থিত থাকতে চলেছেন। তবে শুক্রবার বিকেল থেকেই সুর পুনরায় নরম করা শুরু করেন আসানসোল পুরসভার পদত্যাগী পুর প্রশাসক। নিজের ঘনিষ্ঠ মহলে জানান, দিদির হাত ছাড়বেন না তিনি। সূত্রের খবর, এদিন কালীঘাটে মমতার বাড়িতে যে বৈঠক হয় সেখানে তাঁকে নিয়েও আলোচনা হয়েছিল। এরপর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে তাঁর বৈঠক হয়। সেখান থেকে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের সঙ্গেও একদফা আলোচনা করেন। বেরোনর সময় সাংবাদিকদের সামনে সাফ করেন, তৃণমূল ছাড়ছেন না তিনি।তাঁর সিদ্ধান্ত বদলের ফলে কিছুটা হলেও স্বস্তি এনে দেবে রাজ্যের শাসক শিবিরে। বিশেষ করে শুভেন্দু দল ছাড়ার পর থেকে যেভাবে হিড়িক পড়েছে, তাতে বেশ উদ্বেগে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। এতটাই যে, এদিন খোদ দলের সুপ্রিমো কালীঘাটে বৈঠক ডেকে ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের কাছে গোটা বিষয়টি নিয়ে তাঁর মতামত জানতে চান। মমতা এদিন আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেন। সেটা হল- যারা যাব যাব করছে তাদের যেন শেষবারের মতো বোঝানো হয়। জিতেন্দ্রও সেই তালিকাতেই ছিলেন। দলের কার্যপ্রণালীর প্রতি তিনি নিজের ক্ষোভ উগরে দিলেও মমতার প্রতি তাঁর কৃতজ্ঞতা প্রকাশে কখনই কুণ্ঠা ছিল না। এদিন অরূপ বিশ্বাসের সঙ্গে বৈঠক শেষে জিতেন্দ্র বলেন, দলনেত্রীর কাছে ক্ষমা চেয়ে নেব। বিজেপি এই ঘটনায় কী প্রতিক্রিয়া দেয় সেটাই দেখার।
New Hopes New Visions
More Stories
” লক্ষ্মীবারে ” যা ঘটল শহরে , এক নজরে
নিজাম থেকে এসএসকেএমে গেলেন কেষ্ট মন্ডল
দিনভর নজর নিজামে, সিবিআই দফতরে অনুব্রত