নিজস্ব সংবাদদাতা : কয়লা পাচার কাণ্ডে আয়কর দপ্তরের পর তদন্তে নামে সিবিআইও। আয়কর দপ্তরের তদন্তে কী কী তথ্য উঠে এসেছে, কী কী নথি প্রমাণ আয়করের হাতে এসেছে, তা বিশদে জানতে চেয়ে সিবিআই চিঠি দেয় আইটিকে। চিঠিতে সিবিআই আয়কর দপ্তরের কাছে তদন্ত সংক্রান্ত ফাইল চেয়ে পাঠায়। সবমিলিয়ে কয়লা পাচার কাণ্ডের তদন্তে কোমর বেঁধে নামে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাও। শনিবার সকাল থেকেই কয়লা পাচার কাণ্ডে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা তল্লাশি শুরু করেছে। সিবিআই সূত্রে খবর, কলকাতা, বর্ধমান, রানিগঞ্জ, দুর্গাপুর, আসানসোল সহ দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে। কয়লা পাচার কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত অনুপ মাঝি ওরফে লালার বাড়ি এবং অফিসে তল্লাশি চলছে। জানা গিয়েছে, এদিন সকালে নিজাম প্যালেস থেকে সিবিআই আধিকারিকদের কয়েকটি টিম বের হয়। সেই টিমের তরফেই এই তল্লাশি চালানো হচ্ছে।মূল অভিযুক্ত লালা এখনও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের ধরাছোঁয়ার বাইরে। অনুপ মাঝি ওরফে লালার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি পশ্চিমবঙ্গ-ঝাড়খণ্ড সীমানায় একাধিক খোলামুখ খনি থেকে কয়লা তুলতেন। মুর্শিদাবাদ হয়ে উত্তরবঙ্গে কয়লা পাচার হয়ে যেত। এই কয়লাপাচার চক্রে কিছু রাজনৈতিক দলের প্রত্যক্ষ মদত ছিল বলে সূত্রের খবর। চলতি মাসের গোড়ার দিকে মাঝিকে তিনটি নোটিশ দেয় আয়কর দফতর। তবে তিনি শুধুমাত্র দু’টি প্রাপ্তিস্বীকার করেছেন। তার পরেই অনুপ মাঝির বাড়ি ও অফিসে হানা দিয়ে বহু কাগজপত্র উদ্ধার করে আয়কর দফতর। ইতিমধ্যেই গরু পাচার কাণ্ডে ধৃত মূল অভিযুক্ত এনামূলের সঙ্গে লালার যোগাযোগের প্রমাণ পেয়েছেন সিবিআই তদন্তকারীরা। গত ১৭ নভেম্বর গরু পাচার কাণ্ডে বিএসএফ কম্যান্ডার সতীশ কুমারকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তাঁকে জেরা করেই জানা যায়, ট্রাকে করে কয়লা পাচারে লালাকে সাহায্য করত এনামূল। সবমিলিয়ে এ রাজ্যে কয়লা এবং গরু পাচারকারীদের মধ্যে যথেষ্ট যোগাযোগ ছিল বলেই মনে করছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।
New Hopes New Visions
More Stories
আসুন বেহালায় ,দর্শন করুন মা বৈষ্ণদেবীর মন্দির
শেষ হল রাজ্য খাদি মেলা , মেলায় বিক্রি প্রায় ৬ কোটি
খাদি মেলার শেষ রবিবারে জমজমাট ভীড় , আজ শেষ দিন