নিজস্ব সংবাদদাতা : রবিবার দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটে শেষ হয়ে যায় সবকিছু। খবর আসে প্রয়াত সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। গত ৬ অক্টোবর থেকে দীর্ঘ এক মাসের বেশি সময় ধরে বেলভিউ হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। সবাই আশা করেছিলেন মৃত্যুকে হারিয়ে বেঁচে ফিরবেন অভিনেতা। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না , নিভে গেল বাতি। একটা যুগের অবসান ঘটল। বেলভিউ হাসপাতালে ভর্তির আগেও শুটিং করেছিলেন অভিনেতা। কিন্তু তা অসমাপ্তই রয়ে গেল। অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত না করেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন বর্ষীয়ান অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। বেলভিউ হাসপাতাল থেকে অভিনেতার গল্ফ গ্রীনের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁর মরদেহ। সেখান থেকে টেকনিশিয়ান স্টুডিও সেখান থেকে রবীন্দ্র সদন। শেষ শ্রদ্ধা জানাতে রবীন্দ্রসদনে উপস্থিত হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছিলেন বাম নেতা বিমান বসু, সুজন চক্রবর্তী ও সূর্যকান্ত মিশ্ররাও । প্রয়াত অভিনেতাকে শেষশ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত ছিলেন দেব-রুক্মিনী-রাজ চক্রবর্তী, জুন মালিয়া সহ বিনোদন জগতের তারকারা। এরপর রবীন্দ্র সদন থেকে কেওড়াতলা মহাশ্মশানের উদ্দেশ্যে সৌমিত্রবাবুর পার্থিব শরীর নিয়ে রওনা দেয় পরিবার,পরিজন ও অনুরাগীরা। শেষ যাত্রায় অগণিত মানুষের কণ্ঠে ছিল আগুনের পরশমণি। ক্যাওড়াতলায় গান স্যালুটের মাধ্যমে সম্পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বিদায় জানানো হয় কিংবদন্তী অভিনেতাকে। মু্খ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে সৌমিত্র-কন্যা পৌলমী বসু বলেন, ‘আমাদের পাশে থাকার জন্য দিদিকে ধন্যবাদ জানাই। আমরা তাঁর কাছে কৃতজ্ঞ।’ তাঁর কথায়, ‘আপনাদের সবার ভালবাসা, আপনাদের সবার প্রার্থনা সত্ত্বেও হয়তো উনি শেষপর্যন্ত হেরে গেলেন। কিন্তু উনি আমাদের মধ্যে চিরকাল থেকে যাবেন। ওনার আত্মা, ওনার প্রাণ আমাদের মধ্যে থাকবে। ওনার জীবনটাকে আমরা সেলিব্রেট করব। আমি সবাইকে বলছি, আপনারা দুঃখ পাবেন না, কষ্ট পাবেন না। আমরা হাসিমুখে বাবার কথা ভাবব, ওনার জীবনটাকে আদর্শ মেনে সেলিব্রেট করে চলব। ‘
New Hopes New Visions
More Stories
দেবাশীষ কুমারকে পেয়ে অন্ধকারে আলোর দিশা পেলেন কাউন্সেলররা
বেহালার জাদুঘর হয়েছে আরও আকর্ষণীয়
” লক্ষ্মীবারে ” যা ঘটল শহরে , এক নজরে