নিজস্ব সংবাদদাতা : কলকাতায় সাংবাদিক বৈঠক করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর আস্থা রাখার কথা জানান গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার বহিষ্কৃত নেতা বিমল গুরুং। একইসঙ্গে এনডিএর বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে জোট ছাড়ার কথাও ঘোষণা করেন তিনি। তারপরই তাঁর সিদ্ধান্তকে সমর্থন করল তৃণমূলও। টুইটারে তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে, ‘মাতৃভূমির শান্তিরক্ষা ও উন্নয়ন করতে পাহাড়ের সকলপক্ষ এক সঙ্গে লড়াই করবে’। একইসঙ্গে জানানো হয়েছে ,’মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বের উপর ভরসা রেখে শান্তি প্রক্রিয়াকে সমর্থন ও এনডিএ জোট ছাড়ার বিমল গুরুংয়ের সিদ্ধান্তকে আমরা সমর্থন করছি।’ এদিকে এদিন আচমকাই সল্টলেকে গোর্খাভবনের বাইরে দেখা যায় বিমল গুরংকে। তিনি জানিয়ে দেন, ‘গোর্খাল্যান্ডের দাবি থেকে সরছি না’। বলেন, ‘গোর্খাল্যান্ড ইস্যুর পাশে যারা, সেই দলকে সমর্থন করব। ৬ বছর হয়ে গেলেও গোর্খাল্যান্ডের জন্য কিছুই করেনি বিজেপি, প্রতিশ্রুতি পূরণ করেননি মোদি-অমিত শাহ’, এই বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ঘোষণা করেন, তৃণমূলের সঙ্গে জোট করে এর জবাব দেব। বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করলাম। একুশের ভোটে তৃণমূলের সঙ্গে লড়তে চাই বলেও মন্তব্য করেন। মোর্চার এই নেতার বিরুদ্ধে পুলিশ কর্মী অমিতাভ ঘোষকে খুনের অভিযোগ রয়েছে। UAPA ধারায়া মামলা রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। এতদিন গ্রেপ্তারির ভয়ে কার্যত পালিয়ে বেরিয়েছেন গুরুং। এরই মধ্যে ঘটে করে সাংবাদিক বৈঠক করে ‘ঘর ওয়াপসি’র কথা ঘোষণার মধ্যে গভীর রাজনীতি দেখছেন ওয়াকিবহাল মহল।বিমল গুরুংয়ের এমন ১৮০ ডিগ্রি অবস্থান বদল নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। দলের নেতা সায়ন্তন বসু বলেন,”বিমল গুরুং গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে অনড়। তাহলে কি সেই দাবি মেনে নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?”
New Hopes New Visions
More Stories
দেবাশীষ কুমারকে পেয়ে অন্ধকারে আলোর দিশা পেলেন কাউন্সেলররা
বেহালার জাদুঘর হয়েছে আরও আকর্ষণীয়
” লক্ষ্মীবারে ” যা ঘটল শহরে , এক নজরে