নিজস্ব সংবাদদাতা : বৃহস্পতিবার জাপানে একদিনে ৭ হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এই প্রথমবার সেদেশে একদিনে এত বেশি সংখ্যক মানুষ সংক্রমিত হলেন। এদিন টোকিওতে সংক্রমিত হয়েছেন ২৪৪৭ জন। এরপরই আজ রাজধানী টোকিও এবং নিকটবর্তী আরও তিনটি অঞ্চলে আংশিক জরুরি অবস্থা জারি করল জাপান। প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে, জরুরি অবস্থা জারি থাকবে ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। টোকিও বাদে আর যে শহরগুলিতে জরুরি অবস্থা জারি থাকবে, তার মধ্যে আছে সাইতামা, কানাগাওয়া ও ছিবা। জাপানের মোট জনসংখ্যার ৩০ শতাংশ ওই অঞ্চলে বাস করেন। সরকার মূলত পানশালা ও হোটেলগুলির ওপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। মহামারী বিশেষজ্ঞরা চেয়েছিলেন, দেশ জুড়ে কড়া লকডাউন জারি করা হোক। কিন্তু আর্থিক ক্ষতির কথা ভেবে বেশি কড়াকড়ি করতে রাজি হয়নি সরকার। সরকার নির্দেশ দিয়েছে, বার এবং রেস্তোরাঁগুলি সন্ধ্যা আটটার মধ্যে বন্ধ করে দিতে হবে। নাগরিকদের জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বেরোতে নিষেধ করা হয়েছে। জাপানের ইয়োশিহিদে সুগার সরকার চাইছে, করোনাকে একেবারে দেশ থেকে দূর করতে। গত বছরেই জাপানে অলিম্পিকসের আসর বসার কথা ছিল। কিন্তু অতিমহামারীর জন্য তা স্থগিত হয়ে যায়। অতিমহামারীকে পরাজিত করে যত দ্রুত সম্ভব অলিম্পিকসের আয়োজন করতে চায় জাপান। জাপান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট তোশিও নাকাগাওয়া বলেন, ‘আমাদের দেশ জুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করা উচিত ছিল। আংশিক জরুরি অবস্থা জারি করে করোনা সংক্রমণ রোধ নাও করা যেতে পারে।’ প্রধানমন্ত্রী সুগা বলেন, ‘আংশিক জরুরি অবস্থার ফলেও অর্থনীতির যথেষ্ট ক্ষতি হবে। সেই ধাক্কা সামলানোর জন্য ৭০ হাজার কোটি ইয়েনের প্যাকেজ ঘোষণা করবে সরকার।’
Report by নিজস্ব সংবাদদাতা
Reported on – 09/01/2021
More Stories
খেলার মাঠ থেকে যুদ্ধক্ষেত্র প্রতিরোধ গড়েছে ইউক্রেন
এক নজরে বিপিন লক্ষণ রাওয়াত
এবার আইপিএলে সঞ্জীব গোয়েঙ্কা, ২০২২ এ ১০ টি দল