নিজস্ব সংবাদদাতা : ভিন্ন রূপে ধরা দিল ছট পুজোর সেলিব্রেশন। ঝাড়গ্রাম পৌরসভার বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে ছট পুজোর আয়োজন হয় রীতি মেনেই। একদিকে বাছুরডোবা সহ একাধিক এলাকার পুকুর ঘাটে জমায়েত হতে দেখা যায় মানুষজনকে। দেখে মনে হতেই পারে যে ভক্তদের ভিড়ে করোনা বিধি হারিয়ে গেছে হয়ত। আবার অপরদিকে কিছু মানুষ করোনা বিধি অনুসরণ করে এই জমায়েতকে এড়িয়ে গিয়ে নিজের বাড়িতেই পালন করছেন ছট পুজো। ছট পুজো উপলক্ষে সকাল থেকেই হাওড়ায় গঙ্গার ঘাটগুলিতে সাফাই কাজ চলে। হাওড়া পুরসভা এবং পুলিশ প্রশাসনের কর্মীরা ছাড়াও হাত লাগান রাজনৈতিক দলের নেতা, কর্মীরা। তাঁদের কোথাও ঝাঁটা হাতে গঙ্গার ঘাট পরিষ্কার করতে দেখা গিয়েছে। কোথাও আবার পাইপ দিয়ে জল ছড়িয়ে ঘাটের কাদা সরাতে দেখা গিয়েছে। রাজ্যের সমবায় মন্ত্রী তথা অরূপ রায় শিবপুরের রামকৃষ্ণপুর ঘাট এবং তেলঘাট পরিদর্শনে যান। করোনা পরিস্থিতিতে সকলে যাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে তা নিশ্চিত করার জন্য পুলিশ-প্রশাসনকে নির্দেশও দেন তিনি। গঙ্গার ঘাট পরিদর্শনের পর তিনি চলে যান স্থানীয় একটি বহুতলে। সেখানে ছাদের উপর জলাধার করা হয়েছিল। সেখানেই পুজোর অর্ঘ দেন তিনি।সূর্য পুজো অর্থাত্ ছট পুজোকে কেন্দ্র করে সেজে উঠেছিল গোটা কোচবিহার জেলা। কোচবিহার সাগরদিঘির পাড় সহ তোরসা নদীর ঘাটে হাজার হাজার পুণ্যার্থী এদিন পুজোয় সামিল হন। ছট পুজোর সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশাসনিক তত্পরতা ছিল চোখে পড়ার মতো। সর্বত্র ছড়িয়ে জেলা পুলিশের বিশেষ দল। রায়গঞ্জ, কালিয়াগঞ্জ, ইটাহার, ইসলামপুরের একাধিক জায়গায় জেলার বিভিন্ন নদী তীরে চলে সুর্যদেব ও গঙ্গাপুজো। সরকারি বিধিনিষেধের মধ্যে না গিয়ে রায়গঞ্জ শহরের তুলসীপাড়ার বেশ কয়েকটি পরিবার এলাকার বারোবিঘা মাঠে কৃত্রিম জলাশয় তৈরি করেন। তাঁরা নিজেরাই মাটি কেটে খাল তৈরি করে তার উপর পলিথিন বিছিয়ে পাম্প মেশিনের সাহায্যে জল দিয়ে তৈরি করেন কৃত্রিম জলাশয়। তবে প্রতিবারের ছট পুজোর মতো এবার আনন্দ উপভোগ করতে না পারায় মন খারাপ অনেকেরই ।
New Hopes New Visions
More Stories
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ,ক্রেতাদের ভীড় : জমজমাট বাঁকুড়া খাদি মেলা
বাঁকুড়ায় জমে উঠেছে খাদি মেলা
আসুন বেহালায় ,দর্শন করুন মা বৈষ্ণদেবীর মন্দির