নিজস্ব সংবাদদাতা : মেদিনীপুরে মুখ্যমন্ত্রীর সভার দিন ঝাড়গ্রাম জেলা শাসকের অফিসের বাইরে বিক্ষোভ দেখায় কুড়মী সমন্বয় মঞ্চ। এই মঞ্চের কর্মীরা ডেপুটেশনও জমা দেয় ঝাড়গ্রামের জেলা শাসকের কাছে। কিন্তু অবস্থান বিক্ষোভ চার দিনে পা দিলেও সরকারের কাছ থেকে কোন সদুত্তর পায়না তাঁরা। সেই কারণেই বৃহস্পতিবার বিকেল চারটে থেকে ঝাড়গ্রাম কুড়মী সমন্বয় মঞ্চের কর্মীরা জেলা শাসকের দফতরের নিকটে আমরণ অনশনে বসে। জানা গিয়েছে, গত ৭ই ডিসেম্বর ঝাড়গামে কুড়মী সমন্বয় মঞ্চের পক্ষ থেকে জেলাশাসকের দপ্তরে নিকট ২৬ দফা দাবি নিয়ে অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু করে। তাঁদের দাবির মধ্যে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য দাবি হল, কুড়মী জাতিকে এসটি তালিকাভুক্ত করা, কুরমালী ভাষার অষ্টম তফসিলি অন্তর্ভুক্তিকরণ এবং ঝাড়গ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়টি রঘুনাথ মাহাতোর নামে নামাঙ্কিতকরণ। কুড়মী সমন্বয় মঞ্চের এক নেতৃত্ব রাজেশ মাহাতো বলেন, ”দীর্ঘদিনের মোট ২৬ দফা দাবি নিয়ে সোমবার শুরু হওয়া অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচির সরকারের কাছে কোনো মূল্য নেই। তাই সরকার এখনও পর্যন্ত কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি। তাই আমাদের দাবি যতক্ষণ না পূরণ হয় ততক্ষণ পর্যন্ত আমরণ অনশন চালিয়ে যাব। আমরা কারও কাছে ভিক্ষা চাইছি না। আমরা আমাদের অধিকার চাইছি। না দিলে ছিনিয়ে নিতে হবে”। এই বিষয়ে এদিন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক ছত্রধর মাহাতো এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ”কুড়মীদের আন্দোলনকে আমি সমর্থন করি। কারন আমি ওই সমাজের লোক। ওঁদের দাবিদাওয়া নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তিনি বলেছেন যতটা সম্ভব সমাধান করা হবে। এছাড়াও এমন কিছু দাবি রয়েছে যেগুলো আমাদের হাতে নেই কেন্দ্রের হাতে রয়েছে। আমি লালগড় ব্রিজটির নাম রঘুনাথ মাহাতোর নামে করার জন্য প্রস্তাব দিয়েছি”।
New Hopes New Visions
More Stories
অভিনব উদ্যোগ পৌরমাতা ইতু চক্রবর্তীর
দেবাশীষ কুমারকে পেয়ে অন্ধকারে আলোর দিশা পেলেন কাউন্সেলররা
বাঁকুড়ার খাদি মেলার আজ শেষ দিন