নিজস্ব সংবাদদাতা : ভয়ংকর বুমরাহের বোলিংয়ের সামনে অসহায় আত্মসমর্পণ দিল্লি ব্যাটসম্যানদের। ‘দিল্লি জয়’ করে ত্রয়োদশ আইপিএলের ফাইনালে পৌঁছল চারবারের চ্যাম্পিয়ন মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। রোহিত শর্মাদের বিরুদ্ধে কোনও লড়াই করতে পারেনি শ্রেয়স আইয়ারের দিল্লি। শুরুটা দুর্দান্ত করেছিল দিল্লি। রবিচন্দ্রন অশ্বিনের স্পিনে রীতিমতো ধাক্কা খায় মুম্বইয়ের ব্যাটিং-অর্ডার। শূন্য রানেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন ক্যাপ্টেন রোহিত। ব্যর্থ পোলার্ডও। তবে ডি’কক ও সূর্যকুমার যাদব মিলে দলকে অনেকটা এগিয়ে দেন। আর ঈশান কিষাণ ও হার্দিক পাণ্ডিয়া জুটি এসে বদলে দেন পুরো ছবিটাই। শেষ তিন ওভারে ৫৪ রান তুলে দিল্লিকে বিরাট টার্গেটের সামনে দাঁড় করিয়ে দেন তাঁরা। অশ্বিন তিনটি উইকেট ঝুলিতে ভরলেও মুম্বই বুঝিয়ে দেয়, দলের মিডল অর্ডারও ঠিক কতখানি শক্তিশালী।মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে ২০১ রানের টার্গেট তাড়া করে স্কোর বোর্ডে কোনও রান যোগ করার আগেই দিল্লির প্রথম তিন ব্যাটসম্যান ডাগ-আউটে ফিরে যান। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই ফর্মে না-থাকা পৃথ্বী শ-কে ডাগ-আউটে ফেরান ট্রেন্ট বোল্ট। শেষ সাতটি ম্যাচে ২০ রানের গণ্ডি ছুঁতে পারেননি পৃথ্বী।তারপর অজিঙ্ক রাহানে ও শিখর ধাওয়ান স্কোরবোর্ডে কোনও রান যোগ করার আগেই ডাগ-আউটে ফেরেন। রাহনেকে ফেরান বোল্ট। প্রথম দু’টি উইকেট বোল্ট তুলে নিলেও এরপর শুরু হয় বুমরাহের ভেলকি। দুরন্ত ইয়র্কারে শিখর ধাওয়ানকে বোল্ড করেন বুমরাহ। এরপর একে একে তাঁর সামনে আত্মসমর্পণ করেন দিল্লি ব্যাটসম্যানরা।ম্যাচ চলাকালীনই হরভজন সিং তাই তাঁর প্রশংসা করে লেখেন, ‘জাস্সি (জশপ্রীত) যেয়সা কোয়ি নহি।’ ঋষভ পন্তকে ফেরান ক্রুনাল পান্ডিয়া। যদিও তার মধ্যেও ৬৫ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলেন স্টয়নিস। ৪২ রান করে নজর কাড়েন অক্ষর প্যাটেল। কিন্তু আপাতত সেসব কাজে এল না।দিল্লিকে হেলায় হারিয়ে ফের আইপিএল ফাইনালে পৌঁছে গেলো মুম্বই ইন্ডিয়ান্স।
Report by নিজস্ব সংবাদদাতা
Reported on – 06/11/2020
New Hopes New Visions
More Stories
দেবাশীষ কুমারকে পেয়ে অন্ধকারে আলোর দিশা পেলেন কাউন্সেলররা
” লক্ষ্মীবারে ” যা ঘটল শহরে , এক নজরে
নিজাম থেকে এসএসকেএমে গেলেন কেষ্ট মন্ডল