নিজস্ব সংবাদদাতা : কেউ ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার, কেউ পুলিশ অফিসার, শিক্ষক, কেউ সরকারি বাসের চালক, কেউ আবার বেসরকারী কারখানার কর্মী। এরা প্রত্যেকেই এখন বার্ধক্যের দোরগোড়ায় পৌঁছে গিয়েছেন। এঁদের কারও বাড়িতে থাকার জায়গার অভাব, কারও ছেলে এবং পুত্রবধূ দুজনেই চাকুরিজীবি। এই কারণে তাঁরা বৃদ্ধ বাবা-মা কে সময় দিতে পারে না। সারাক্ষন বাড়িতে একা থাকতে হয়। ওঁরা প্রত্যেকেই আজ বড় একা। সে কারণেই ওঁদের প্রত্যেকেরই আজ জায়গা বৃদ্ধাশ্রমে। এই অবস্থায় নদিয়া জেলার নবদ্বীপ বেসরকারী বৃদ্ধাশ্রমের বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের পুজোর দিনে আনন্দ দিলেন নবদ্বীপ থানার পুলিশ কর্মীরা। তাঁদেরকে নতুন বস্ত্র, দুপুরের খাওয়া-দাওয়া এবং দূরত্ব বিধি মেনে গাড়ি করে মণ্ডপে মণ্ডপে প্রতিমা দর্শন করালেন তাঁরা। শুধু ওঁদের নয়, নবদ্বীপ পুরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের চন্দ্র কলোনির বেশ কিছু অসহায় পরিবারের ছেলেমেয়েদের হাতেও তুলে দেওয়া হয় নতুন জামা প্যান্ট। এরপর ওদের জন্য থানা চত্বরে দুপুরের খাবারের আয়োজন করা হয়। এই বাচ্চাদেরও প্রতিমা দর্শনে নিয়ে যান পুলিশ কর্মীরা। এদিন এইভাবে থানায় নিয়ে এসে আপ্যায়িত করায় খুবই খুশি তারা।নবদ্বীপ থানাতেই একসময় পুলিশ অফিসারের দায়িত্ব পালন করেছেন বিকাশ ভাদুড়ী। এই ঘটনায় তিনি বলেছেন, ”ছেলে বৌমা চাকরি করে। আমাকে সময় দিতে পারে না। ওঁদের হাতে সময় খুব কম। কাজের মেয়ে আসে রান্না করে, বাসন মেজে দিয়ে চলে যায়। এরপর সারাদিন ঘরে একাই থাকতে হয়। সেজন্য একাকিত্বের জ্বালা থেকে বাঁচতেই, আমি এই বৃদ্ধাশ্রমে চলে এসেছি। সত্যি এখানে খুবই ভালো আছি”। এই বিষয়ে নবদ্বীপ থানার আইসি কল্লোল কুমার ঘোষ বলেছেন, ”বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপূজা। উৎসবের দিনে সকলেই পরিবারের সঙ্গে থাকতে ভালোবাসেন। যে কোনো কারণে ওঁরা আজ পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন। তাই ওঁদের সঙ্গে সময় কাটাতেই আমাদের এই ছোট্ট উদ্যোগ”।
New Hopes New Visions
More Stories
আসুন বেহালায় ,দর্শন করুন মা বৈষ্ণদেবীর মন্দির
শেষ হল রাজ্য খাদি মেলা , মেলায় বিক্রি প্রায় ৬ কোটি
খাদি মেলার শেষ রবিবারে জমজমাট ভীড় , আজ শেষ দিন