নিজস্ব সংবাদদাতা : দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটের তিনশো বছরেরও বেশি পুরোনো পালবাড়ির পুজো। বহুবছর পর প্রাচীন প্রথা অনুযায়ী মা দুর্গাকে আত্রেয়ী নদীর রাইখোর মাছ দিয়ে ভোগ নিবেদনের সুযোগ পেয়েছেন উদ্যোক্তারা। এক সময় হারিয়ে যাওয়া রাইখোর মাছের জোয়ার এবছর আবার ফিরে এসেছে আত্রেয়ীতে। দেবীর প্ৰিয় এই বিশেষ ভোগ নিবেদনের প্রস্তুতিতে এখন থেকেই উন্মাদনা শুরু হয়ে গেছে এলাকার সকলের মধ্যে। প্রাচীন বালুরঘাটের পালবাড়ির পুজোর বিশেষত্বই হলো দেবীকে নবমী ও দশমীতে আত্রেয়ীর প্রধান মাছ রাইখর ও বোয়াল দিয়ে আমিষ ভোগ নিবেদন। দশমীর দিনে ভোগের অন্যতম আকর্ষণ পান্তাভাত ও সঙ্গে রাইখর মাছ ভাজা। কয়েক দশক আগেও আত্রেয়ী নদীর সুপ্রসিদ্ধ রাইখর মাছ দিয়েই সেই ভোগ নিবেদন করা হতো।কিন্তু মাঝে আত্রেয়ী নদীর নাব্যতা হারিয়ে ফেলা ও দূষিত হয়ে পড়ার কারণে রাইখর মাছের আর দেখা মিলছিল না। যার প্রভাব পড়েছিল পালবাড়ির দূর্গা পূজার ভোগ নিবেদনেও। কিন্তু এবছর নদীতে ফের রাইখরের জোয়ার আসায় পালবাড়ির দূর্গা পূজার আয়োজকদের মুখে হাসি ফুটেছে। তাই এখন থেকেই নবমী ও দশমীর ভোগ নিবেদন নিয়ে আলাদা উন্মাদনার সৃষ্টি হয়েছে সকলের মধ্যে।প্রায় চারশো বছর আগে পঞ্চমুন্ডীর আসন ও বাঁশ খড়ের ছাউনির মন্দিরে স্থানীয় বাসিন্দা গৌরী পাল প্রথম দূর্গা পূজার প্রচলন করেন। গৌরী পাল মারা যাওয়ার পর তাঁর বংশধরেরা এই পুজোর দায়িত্ব প্রতিবেশীদের সপেঁ দেন।পুরাতন রীতি মেনেই পাল বাড়ির পুজোর আয়োজন করে আসছেন বর্তমান আয়োজকরা। পাল বাড়ির পুজো মণ্ডপে কোনোকিছু মানত করলে তা পূরণ হবেই বলে সকলের বিশ্বাস। যে কারণে শুধু বালুরঘাটেরই নয় বাইরে থেকেও বহু মানুষ এসে এখানে মানত করেন। দশমীর ভোগের প্রসাদ পান্তাভাত ও মাছ ভাজা পেতে বহু মানুষের ভিড় জমে যায় মণ্ডপ প্রাঙ্গনে।
New Hopes New Visions
More Stories
অভিনব উদ্যোগ পৌরমাতা ইতু চক্রবর্তীর
দেবাশীষ কুমারকে পেয়ে অন্ধকারে আলোর দিশা পেলেন কাউন্সেলররা
বলিউডে পা রাখছেন শাহরুখ কন্যা ও অমিতাভের নাতি