নিজস্ব সংবাদদাতা : গত বুধবার পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া এলাকার একটি হিন্দু মন্দিরে হামলা চালিয়ে সেটি ভেঙে ফেলে মৌলবাদী ইসলামিক দলের সমর্থকরা। এই ঘটনার ভিডিও এবং ছবি ভাইরাল হতেই তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে পাকিস্তানে হিন্দু অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে।দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মন্দির ভাঙ্গার প্রতিবাদ করে মিছিল বের করেছে পাকিস্তানের হিন্দু নাগরিকরা। সংখ্যালঘু ও মানবাধিকার সংগঠনের পক্ষ থেকে এই অমানবিক ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। ঘটনায় মূল অভিযুক্ত মৌলবাদী জামিয়ত-উলেমা- ই- ইসলাম পার্টি। এবার পাকিস্তানে হিন্দু মন্দির ধ্বংসের ঘটনায় কড়া প্রতিবাদ জানাল ভারত। কূটনৈতিক স্তরে তীব্র ভাষায় প্রতিবাদ বার্তা পৌঁছে দেওয়া হল ইসলামাবাদের কাছে। আন্তর্জাতিক মঞ্চে গোটা বিষয়টি তুলে ধরা হয় নয়াদিল্লির পক্ষ থেকে। এরপরেই সুর নরম করে পাকিস্তান। খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের প্রশাসন জানিয়েছে মন্দিরটির পুনর্নির্মাণ করা হবে। খাইবার পাখতুনখোয়ার মুখ্যমন্ত্রী মেহমুদ খান জানিয়েছেন খুব দ্রুত ওই মন্দির নতুন করে গড়ে দেওয়া হবে। যদিও ধর্ম অবমাননার ঘটনা পাকিস্তানে নতুন নয়। সবসময় যে অবমাননা হলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়, এমনটাও নয়। তবে এবার মানবাধিকার কমিশনের চাপে নড়েচড়ে বসেছে পাকিস্তান সরকার। একধাক্কায় কমপক্ষে ৪৫ জনকে গ্রেফতার করেছে ইমরান খানের সরকার। ধর্ম অবমাননা বরদাস্ত করা হবে না, দেওয়া হয়েছে এমন বার্তা। মাস ছয়েক আগে কট্টরপন্থীদের রক্তচক্ষুতে শ্রীকৃষ্ণের একটি মন্দিরের নির্মাণকাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। পরে পাকিস্তানের রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে। শুধু ওই মন্দিরই নয়, ওই মন্দিরটিকে কেন্দ্র করে থাকা শ্মশানের চারপাশে প্রাচীর নির্মাণের অনুমতিও দেওয়া হয়। ওই প্রাচীরের উচ্চতা হতে হবে ৭ ফুট বলে জানানো হয়।
Report by নিজস্ব সংবাদদাতা
Reported on – 02/01/2021
More Stories
যৌনকর্মী অধিকার দিবস পালনে চাঁদের হাট সোনাগাছিতে
একদিনে পরপর দুঃসংবাদ, বাকরুদ্ধ বিশ্ব ক্রিকেট
খেলার মাঠ থেকে যুদ্ধক্ষেত্র প্রতিরোধ গড়েছে ইউক্রেন