নিজস্ব সংবাদদাতা : পুরুলিয়ার চেলিয়ামা গ্ৰামের সরকারপাড়ার বাসিন্দা ভোলানাথ বন্দ্যোপাধ্যায়। খুব ছোট থেকেই সার নেই দু হাতে। তাই শৈশব থেকে কৈশোরে পৌঁছনোর সময় যে ভাবে দুটো হাতকে সবাই ব্যবহার করতে শেখে তা করা হয়নি তাঁর। তাতে অবশ্য হার মানেনি ভোলানাথ। অদম্য জেদকে সঙ্গী করে পায়ের আঙুলের ফাঁকে তুলে নিয়েছিলেন কলম।ভোলানাথের মা বকুল বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন, জন্ম থেকে ভোলানাথ প্রতিবন্ধী নন। তার যখন তিন বছর বয়স তখন হঠাত্ই তাঁর দু’হাতের সমস্ত শক্তি চলে যায়। বাবার ছোট্ট একটা দোকান ছিল। যতটুকু পুঁজি ছিল তা দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ছেলের চিকিত্সা করিয়েছেন। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। হার না মেনে পায়ের আঙুলের ফাঁকে পেন দিয়ে লেখা অভ্যেস করে পড়াশোনা শুরু করেছিলেন।মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে কলেজেও ভর্তি হয়েছিলেন। সেকেন্ড ইয়ারে পড়ার সময় বাবা আচমকাই মারা যান। গোটা পরিবারের সামনে অন্ধকার নেমে আসে। হাজার প্রতিকূলতাকে পেছনে ফেলে ক্লাসের পর ক্লাস ডিঙিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় পাস করেছেন ভোলানাথ । এলাকার ছেলেমেয়েদের প্রাইভেট টিউশন পড়িয়ে যেটুকু রোজকার হয় তা দিয়ে মা দাদা আর তার সংসার চলে। আর হাজার টাকার প্রতিবন্ধী ভাতার ভরসা। ভোলানাথের দাদা লটারির টিকিট বিক্রি করেন। লকডাউন এর সময় সেটাও বন্ধ হয়ে গেছিল।বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবসে ভোলানাথের তাই একটাই প্রার্থনা, সরকার যদি কোনও কাজের ব্যবস্থা করে দেয়।
New Hopes New Visions
More Stories
আসুন বেহালায় ,দর্শন করুন মা বৈষ্ণদেবীর মন্দির
শেষ হল রাজ্য খাদি মেলা , মেলায় বিক্রি প্রায় ৬ কোটি
খাদি মেলার শেষ রবিবারে জমজমাট ভীড় , আজ শেষ দিন