সেতু নির্মাণের কাজ চলাকালীন ভূগর্ভ থেকে বেরিয়ে এলে গাঢ় নীল জলের ফোয়ারা বা জলধারা। ফলে থমকে গেল ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের ওপর তপসী সেতু নির্মাণের কাজ। সোমবার এই ঘটনা ঘটে নির্মিয়মাণ তপসী সেতুর এলাকার সিঙ্গারণ নদীর কিনারে। সেতুর জন্য তৈরি পিলারের গর্ত থেকে জলের স্রোত ওপরের দিকে আসতে থাকে। সকাল থেকে যে জলের স্রোত বইয়ে বাইরে আসতে থাকে তা রাত পর্যন্ত থামেনি। এর ফলে শুখা সিঙ্গারণ একদিনেই জলে ফুলে ফেঁপে ওঠে। সব থেকে আশ্চর্য্যের জলের রঙ সবুজ ও স্ফটিকে মত স্বচ্ছ। ঘটনা জানাজানি হতেই ভিড় জমে যায় এলাকায়। তবে সাময়িকভাবে থমকে যায় সেতু নির্মাণের কাজ।
দীর্ঘ দাবিদাওয়ার পর অবশেষে ওই সেতুর পাশেই তৈরী হচ্ছে নতুন সেতু। সেতু নির্মাণের কাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে ঠিকা সংস্থা। ওই সংস্থার পোকল্যান্ড অপারেটর মহম্মদ ফইম আনসারি বলেন, সেতুর শেষ পিলারের কাজ চলছিল। বক্স করে কাটা হয়েছিল ঢালাই করা হবে বলে। কিন্তু হঠাত করেই মাটির তল থেকে জলের ফোয়ারা আসতে থাকে। রাতারাতি আমাদের মেশিনপত্র সরিয়ে নিতে হয়। গোটা এলাকা বানভাসির মত অবস্থা হয়ে যায় মূহূর্তের মধ্যে। আমরা জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। বিশেষজ্ঞরা এসে দেখবেন তারপর শুরু হবে কাজ। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন সিঙ্গারণ নদীর জল আগে কাঁচের মত স্বচ্ছ ছিল। এখন কারখানার দূষণে নষ্ট হয়ে গেছে। কিন্তু সিঙ্গারণ নদীর কিনারে যে জলধারা দেখা গেল তা সিঙ্গারণেরই পুরানো রূপ। এরকম শীতল, স্বচ্ছ ও সবুজ জল আগে তাঁরা দেখেননি। সোমবারের পর থেকে সেই জল এখন বইছে সিঙ্গারণ নদীতে।
উল্লেখ্য একমাস আগে জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি বলে গিয়েছিলেন, আর ২ মাসের মধ্যে কাজ শেষ হয়ে যাবে। আরও শ্রমিক বেশী লাগিয়ে ও ওভার টাইম দিয়ে কাজ শেষ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু নতুন এই সমস্যায় থমকে গেল সেতু নির্মাণের কাজ।
More Stories
আসুন বেহালায় ,দর্শন করুন মা বৈষ্ণদেবীর মন্দির
শেষ হল রাজ্য খাদি মেলা , মেলায় বিক্রি প্রায় ৬ কোটি
খাদি মেলার শেষ রবিবারে জমজমাট ভীড় , আজ শেষ দিন