নিজস্ব সংবাদদাতা : চিত্পুরে অভিজাত আবাসনে রহস্যমৃত্যু। ফ্ল্যাটের মধ্যে চলছিল বচসা। পুলিশকে দেখে পালানোর চেষ্টা। ছাদ থেকে ‘মরণঝাঁপ’ দিয়ে মৃত্যু। এমনটাই প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম আব্দুল হোসেন ওরফে সেন্টিয়া । হুগলির দাগী দুষ্কৃতী আবদুল। খুন, তোলাবাজি থেকে শুরু করে অন্তত ৬ টি মামলায় অভিযুক্ত। বর্তমানে ফেরার। ভদ্রেশ্বরের বাসিন্দা আব্দুলের বিরুদ্ধে বেলঘড়িয়া থানা এলাকাতেও অভিযোগ রয়েছে। কামারহাটির একাধিক বোমাবাজি, গুলি চালানোর ঘটনায় অভিযুক্ত সে। যে আবাসন থেকে সে ঝাঁপ দিয়েছে জানা যায়, ওই আবাসনটি মালদা জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ পায়েল খাতুনের নামে কেনা। এ-ও জানা গিয়েছে, শনিবার রাত পর্যন্ত ওই ফ্ল্যাটে ছিলেন পায়েলের স্বামী মহম্মদ ইয়াসিন। তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ জানতে পারে, ইয়াসিন শেখ প্রায়ই কলকাতায় ওই ফ্ল্যাটে এসে থাকেন। সেই সময় সেন্টিয়া তাঁর সঙ্গে থাকে। ফ্ল্যাটের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ এবং ঢোকা বেরনোর রেজিস্টার দেখে পুলিশ জানতে পারে, ১২ অক্টোবর মালদহ জেলা পরিষদের সরকারি গাড়ি চেপে ওই আবাসনে ঢোকেন ইয়াসিন। তাঁর সঙ্গে ছিল সেন্টিয়া। আবাসনের রেজিস্টার অনুযায়ী ১৬ অক্টোবর রাতে বেরিয়ে যান ইয়াসিন। আবাসনের দায়িত্ব দিয়ে যান সেন্টিয়াকে। স্থানীয়রা বলেছেন, যে মারা গিয়েছে, তিনি সেই আবাসনের নয়। তবে ফ্ল্যাটে মাঝেমধ্যেই আসতেন। এ ব্যাপারে পায়েল খাতুনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি এই ব্যাপারে কিছু জানি না। আমি এখন শিলিগুড়িতে আছি।’ এমনকি তিনি জানিয়ে দেন তাঁর স্বামীও এখন কলকাতার বাইরে আছেন। আব্দুল হোসেন বা সেন্টিয়াকে চেনেন না বলেও জানিয়েছেন পায়েল খাতুন। যদিও তৃণমূল নেত্রীর ফ্ল্যাট থেকে হুগলির কুখ্যাত দুষ্কৃতীর অস্বাভাবিক মৃত্যু নিয়ে তুলকালাম পড়ে গিয়েছে শহরের প্রশাসন মহলে। বিরোধীদের অভিযোগ, শাসকদলের ছত্রচ্ছায়ায় থেকেই নানা ধরনের অপরাধ চালিয়ে যাচ্ছিল আবদুলরা
New Hopes New Visions
More Stories
দেবাশীষ কুমারকে পেয়ে অন্ধকারে আলোর দিশা পেলেন কাউন্সেলররা
বেহালার জাদুঘর হয়েছে আরও আকর্ষণীয়
” লক্ষ্মীবারে ” যা ঘটল শহরে , এক নজরে