নিজস্ব সংবাদদাতা : বিধানসভা ভোটে বহিরাগত ইস্যুতে তৃণমূলের নিশানায় বিজেপি । সাংবাদিক সম্মেলন থেকে সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে বিজেপি কতটা সম্মান করে বাঙালিকে সেই নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তৃণমূল নেতা ও অভিনেতা-নাট্যকর ব্রাত্য বসু ।বিজেপির স্ট্র্যাটেজিকে প্রবল কটাক্ষ করে ব্রাত্য বসু বলেছেন, ‘আপনারা বহিরাগত দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করবেন, হাতজোড় করে থাকতে হবে, সেভাবে বাংলার রাজনীতি চলবে? আমাদের জাতির কি এতই দুর্দশা? গুজরাত ক্যাবিনেটে দেখান তো একটা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, অর্জুন রায়! অথচ আমাদের এখানে মানতে হবে অন্যদের । আমরা তো এ রাজ্যে থাকা অন্যভাষাভাষী মানুষকে নিজেদের বলে মনে করি । ওনারা কেন গুজরাতে থাকা বাঙালিদের সে সম্মান দিতে পারছেন না? মমতার দাক্ষিণ্যে প্রথম বিধায়ক হয়েছিলেন অর্জুন সিং । এখন ওই দলে আমাদের ক্যাবিনেটে তো বিভিন্নতা আছে, তাহলে গুজরাতে নেই কেন কোনও রায়,বন্দ্যোপাধ্যায়?’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সুভাষচন্দ্র বসুর সঙ্গে তুলনা করে ব্রাত্য বসু বলেন, মমতাকে সুভাষের মত লড়াই করতে হয়েছে, সুভাষচন্দ্রের আজাদ হিন্দ ফৌজ -এর মতই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৈরি করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস। উত্তর এবং পশ্চিম ভারত থেকে তাকে নিয়ন্ত্রণ করতে লোক পাঠানো হচ্ছে বাংলায়। সুভাষচন্দ্র বসু ঠিক যেভাবে রাজনীতির শিকার হয়েছিলেন, ঠিক সেইভাবেই রাজনৈতিক শিকার হচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মার্কিন মন্ত্রিসভায় বাঙালির অন্তর্ভূক্তির প্রসঙ্গ টেনে মোদি সরকারকে বিঁধেছেন ব্রাত্য বসু। বলেন, ”আমেরিকার নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ক্যাবিনেটে বাঙালিকে রাখছেন। গত ১০ বছরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা বলেছেন বিশ্ব বাংলা। বাংলার মুখ দিয়ে বিশ্বকে দেখা। বিশ্বকে দিয়ে বাংলাকে ভাবা। সংকীর্ণ চিন্তাভাবনা নয়। বরং আন্তর্জাতিকক্ষেত্রে তুলে ধরা বাঙালিকে। বাঙালিকে তুলে ধরা। বাইডেনের ক্যাবিনেটে বাঙালি মন্ত্রী থাকার মতো আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে কন্যাশ্রী প্রকল্প। বাইডেন মনে করছেন, গবেষক অরুণ মজুমদার যোগ্য। আমরা দেখতে পাচ্ছি, ৭ বছর ধরে কেন্দ্রীয় সরকার থাকা সত্ত্বেও বাঙালি মন্ত্রী নেই। গত ৭ বছর ধরে হাফ প্যান্ট পরা মন্ত্রীদের রেখে দিয়েছেন।”
New Hopes New Visions
More Stories
বেহালায় সকাল সকাল দুয়ারে হাজির মেয়র
আগামীর রূপরেখার সূচনা করলো “বেহালা নাগরিক মঞ্চ”
আসুন বেহালায় ,দর্শন করুন মা বৈষ্ণদেবীর মন্দির