নিজস্ব সংবাদদাতা : বাম-কংগ্রেস জোট যৌথ আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে ভোটের প্রস্তুতি সারছে। বৈঠক শেষে এই বার্তা দিয়ে গেলেন জোট নেতারা। তবে আসনরফার ফর্মুলা নিয়ে যে জটিলতা তৈরি হতে চলেছে, সেই জট সহজে খুলবে না বলে ধারণা অনেকের। বাংলার রাজনীতিতে বাম-কংগ্রেস জোট সম্ভবনাময় শক্তি হিসেবে উঠে আসছে বলে দাবি করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। বামফ্রন্টের সঙ্গে কংগ্রেসের বৈঠক ছিল। সেই বৈঠক শেষে সাংবাদিক বৈঠকে অধীর চৌধুরী বলেন, ‘বাম কংগ্রেস জোটের সম্ভাবনা বাড়ছে বলেই তৃণমূল আর বিজেপি জোটের ঘর ভাঙাতে টাস্ক দিচ্ছে।’ প্রশান্ত কিশোরের টিম অনেক বাম ও কংগ্রেসের প্রাক্তন ও বর্তমান বিধায়কদের দলে টানার চেষ্টা করছে বলে শোনা যাচ্ছে। এও জানা যাচ্ছে বিজেপির তরফেও এই কৌশল নেওয়া হয়েছে। তবে মঙ্গলবারের বৈঠকে মূলত ঠিক হয়েছে, সর্বভারতীয় শ্রমিক সংগঠনগুলি ২৬ নভেম্বর যে সারা ভারত সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে, তা সফল করতে দু’পক্ষকেই ঝাঁপাতে হবে। এরপর ডিসেম্বরের ৬, ১০ ও ১৮ তারিখ রাজ্যজুড়ে যৌথ আন্দোলন হবে। ব্লকস্তরে সেই আন্দোলন পৌঁছে দিতে হবে। তারপরে পরিস্থিতি বিচার করে ফের দু’পক্ষ বৈঠকে বসবে বলে সিদ্ধান্ত হয়। জোটের বৈঠকে বসার আগে এদিন নিজেদের মধ্যে একদফা আলোচনা সেরে নেন বামফ্রন্ট নেতৃত্ব। সেখানে ঠিক হয় আসন ফর্মুলা নিয়ে এখনই কংগ্রেসের সঙ্গে আলোচনা শুরু করা হবে না। তবে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে যদি কিছু বলা হয়, তবেই বামেদের পক্ষ থেকে জবাব দেওয়া হবে। এদিন বিমানবাবু বলেন, ‘এখন পাখির চোখ ২৬ নভেম্বরের ধর্মঘট সফল করা। তার জন্য যৌথ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। ধর্মঘট মিটলে ফের বৈঠক হবে।’ বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘কেউ কেউ ভাবছে শুধু বিজেপিই বিপদ। এ ব্যাপারে কোনও সন্দেহ নেই যে বিজেপি দেশের সামনে, ধর্মনিরপেক্ষতার প্রশ্নে সবচেয়ে বড় বিপদ। কিন্তু এ রাজ্যে বিজেপিকে হাত ধরে ডেকে এনেছে তৃণমূল। তাই বাম-কংগ্রেসের লড়াই এই দুই শক্তির বিরুদ্ধেই।’
New Hopes New Visions
More Stories
বেহালায় সকাল সকাল দুয়ারে হাজির মেয়র
আগামীর রূপরেখার সূচনা করলো “বেহালা নাগরিক মঞ্চ”
আসুন বেহালায় ,দর্শন করুন মা বৈষ্ণদেবীর মন্দির