নিজস্ব সংবাদদাতা : তাঁকে কেন্দ্র করে কতকিছু বিতর্কই না তৈরি হয়েছে। তবু মারাদোনা যেন এক ঈশ্বরের নাম। মাদক এবং নারীসঙ্গে বরাবরই বিতর্কে জড়িয়েছেন। জীবনকে অন্য চোখে দেখতেন। বরাবরই প্রাণবন্ত থাকতে চেয়েছেন। তাইতো এক বর্ণময় চরিত্র হয়ে থেকে গেছেন দিয়েগো আর্মান্দো মারাদোনা। মারাদোনার জীবন বদলে দেয় ১৯৮৬’র বিশ্বকাপ। বা পায়ের জাদুতে গোটা বিশ্বের মনজয় করেন দিয়েগো।তবে সেবারের বিশ্বকাপেও বিতর্ক পিছু ছাড়েনি তাঁর। কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তাঁর করা প্রথম গোলটি আজও বিখ্যাত হয়ে আছে ‘হ্যান্ড অফ গডে’র জন্য। ইংল্যান্ডের গোলরক্ষক পিটার শিল্টনের মাথার উপর দিয়ে তিনি যেভাবে বিপক্ষের জালে বল জড়ান, এক নজরে পিছন থেকে দেখে বোঝার উপায় ছিল না যে সেটি হাত দিয়ে করা। রেফারি বোঝেননি। ইতিহাসে কালজয়ী বিতর্কের সৃষ্টি করেছে মারাদোনার সেই ‘হ্যান্ড অফ গড’। ১৯৯১ সালে নাপোলিতে খেলার সময় কোকেইন নেওয়ার অপরাধে ১৫ মাসের জন্য ফুটবল থেকে নির্বাসিত হন দিয়েগো মারাদোনা। ১৯৯৮ সালে এক সাংবাদিককে গুলি করার অপরাধে এবং কর ফাঁকির অপরাধে ২ বছর ১০ মাসের জেল হেফাজত হয় ফুটবল রাজপুত্রের। ২০০০ সালের পর অতিরিক্ত মাদক সেবনের জেরে বেড়ে যায় ওজন। ২০০৪ সালে একবার হার্ট অ্যাটাকও হয়। বহুবার প্রকাশ্যে এসেছে অসংলগ্ন ব্যবহার, বহুবার জড়িয়েছেন আইনি বিপাকে। সব কিছু পেরিয়ে ফিরেও এসেছেন। ২০১০ সালে আর্জেন্তিনার হয়ে কোচিং করানোর সময় এক সাংবাদিকের পায়ের উপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে চলে যান মারাদোনা। কখনও ইটালি, মেক্সিকোর ড্রাগ মাফিয়াদের সঙ্গে যোগাযোগ, বারবার জড়াতে হয়েছে আইনি বিপাকেও। তবে, সব ব্যর্থতা, সব বিতর্ক ছাপিয়ে মারাদোনা মারাদোনাই। ফুটবল রাজপুত্রের প্রয়াণে তাই আজ মন খারাপ গোটা বিশ্বের ।
New Hopes New Visions
More Stories
শীতের ঠান্ডায় গরমাগরম গোল্ড কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট
বেহালায় নতুন বছরে জাতীয়স্তরের ক্যারাটে প্রতিযোগিতা
বৃষ্টিভেজা নর্দান পার্কে জয় হল ফুটবলের , চ্যাম্পিয়ন সুরুচি সংঘ