নিজস্ব সংবাদদাতা : সাংবিধানিক কাঠামো অনুযায়ী রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য পদে রয়েছেন রাজ্যপাল। এ রাজ্যের ক্ষেত্রে শাসকদল তৃণমূল যাকে বিজেপি অনুগত বলে মনে করে। আচার্যর উপস্থিতিতেই সমাবর্তন করা দস্তুর। এ রাজ্যের রাজ্যপাল তথা আচার্য জগদীপ ধনকড় গতবছর কলকাতা এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে গিয়ে বাধার মুখে ফিরে আসতে বাধ্য হন। তা নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়। পরিবর্তিত অতিমারির পরিস্থিতিতে ভারচুয়াল সমাবর্তনে যাদবপুর তাঁকে ডাকবে কিনা তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছিল। গতবছরের বিতর্কের পর এবার আর ঝুঁকি নিতে চাইছে না বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। করোনার কারণে টানা ১০ মাস বন্ধ বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠন-পাঠন। খড়গপুর, বম্বে ও মাদ্রাজ আইআইটিতে ভারচুয়াল সমাবর্তন হয়েছে। দেশের অন্য বেশকিছু বিশ্ববিদ্যালয়েও হয়েছে ভারচুয়াল সমাবর্তন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে সেই অনুষ্ঠানগুলিতে বক্তব্য রাখতে দেখা গিয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীরা মনে করছিলেন যাদবপুরেও এবার তেমনটাই হবে। যাদবপুরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, চলতি বছরে পাস করেছেন এমন প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীকে ২০ ডিসেম্বরের মধ্যে বকেয়া ফি অনলাইনে মিটিয়ে দিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি ই-মেলের মাধ্যমে নিজেদের নাম, বিভাগ, ই-মেল আইডি, মোবাইল নম্বর এবং বাড়ির ঠিকানা জানাতে হবে। নির্দিষ্ট সেই ঠিকানাতেই শংসাপত্রের হার্ডকপি পাঠিয়ে দেবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সমাবর্তনের বিশেষ পোশাক, খাবারের প্যাকেট ও শংসাপত্রের জন্য সমাবর্তনের আগে নির্দিষ্ট ফি নেওয়া হয়। স্নাতক-স্নাতকোত্তর এবং পিএইচডি উত্তীর্ণ সেই ছাত্র-ছাত্রীদের থেকে এবার কোনও ফি নেওয়া হয়নি।
Report by নিজস্ব সংবাদদাতা
Reported on – 16/12/2020
More Stories
” লক্ষ্মীবারে ” যা ঘটল শহরে , এক নজরে
নিজাম থেকে এসএসকেএমে গেলেন কেষ্ট মন্ডল
দিনভর নজর নিজামে, সিবিআই দফতরে অনুব্রত