নিজস্ব সংবাদদাতা : ‘বীরসন্ন্যাসী’ বিবেকানন্দ ছিলেন বহুগুণে গুণান্বিত। তিনি ছিলেন একজন হিন্দু সন্ন্যাসী, দার্শনিক, লেখক, সংগীতজ্ঞ এবং রামকৃষ্ণ পরমহংসের প্রধান শিষ্য। জীবনের দর্শনের পথ, পরোপকার, আত্ববিশ্বাসের পথ, চরিত্র গঠন, কুসংস্কার ত্যাগ করে সংস্কারের পথ প্রশস্ত করেছেন তিনি। আদর্শের জন্য প্রাণ পর্যন্ত বিসর্জন দিতে যুবক যুবতীদের উত্সাহ দেন তিনি। যে পরিবর্তন তিনি জাতীয় ও সমাজ জীবনে দেখতে চেয়েছিলেন, তাঁর আশা ছিল, তা আসবে তরুণ প্রজন্মের হাত ধরে। ১৯৮৪ সালে তত্কালীন কেন্দ্রীয় সরকার স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিবসটি জাতীয় যুব দিবস হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত নেয়। সেই থেকে ১৯৮৫ থেকে ১২ জানুয়ারি দেশজুড়ে পালিত হয় জাতীয় যুব দিবস হিসেবে। সমস্ত স্কুল, কলেজে এই দিনটি উপলক্ষে নানান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। তবে করোনাকালে বন্ধ সমস্ত স্কুল, কলেজ। এর মধ্যেও করোনা বিধি মেনেই স্বামীজির জন্মদিবস পালন করার নির্দেশ দিয়েছে ইউনিভার্সিটি গ্র্যান্টস কমিশন (UGC)। ইউজিসি জানিয়েছে, বিবেকানন্দের জন্মদিবস উপলক্ষে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়গুলি অনলাইন বক্তৃতা, স্বামীজির বাণী নিয়ে ওয়েবিনারের আয়োজন করতে পারে। এছাড়া আবৃত্তি প্রতিযোগিতা, প্রবন্ধ রচনা প্রতিযোগিতা, বিতর্ক সভার আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছে তারা, বলা হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় স্বামীজির বাণী ও শিক্ষা প্রচার করতে।
Report by web desk
Reported on – 12/01/2021
More Stories
অভিনব উদ্যোগ পৌরমাতা ইতু চক্রবর্তীর
দেবাশীষ কুমারকে পেয়ে অন্ধকারে আলোর দিশা পেলেন কাউন্সেলররা
বেহালার জাদুঘর হয়েছে আরও আকর্ষণীয়