ভাইপো তোলাবাজ, প্রথম দিনেই মঞ্চ থেকে অল আউট অ্যটাক পূর্ব দলকে।নতুন রাজনৈতিক কেরিয়ারে পা রেখেই ঝাঁজ টের পাওয়ালেন শুভেন্দু অধিকারী । আর তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বকে নিজের মূল প্রতিপক্ষ বলে চিহ্নিত করে নাম না করেই গর্জে উঠলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। মেদিনীপুর কলেজ মাঠের মঞ্চ থেকে বিজেপি নেতার হুঙ্কার, ”তোলাবাজ ভাইপো হঠাও।” এতদিন যা চাপা ছিল, সেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে যাবতীয় ক্ষোভ এদিন উগরে দিলেন এই সভামঞ্চ থেকেই। অমিত শাহকে ‘দাদা’ বলে সম্বোধন করে বললেন, ”আমার যখন কোভিড হয়েছিল, দলের কেউ খোঁজ নেননি। অমিতজি খোঁজ নিয়েছেন।”শুভেন্দুর দলবদলের জল্নার গোড়া থেকেই গুঞ্জন চলছিল, তিনি মুখ্যমন্ত্রীর পদপ্রার্থী হতে পারেন। কিন্তু শনিবার তিনি ইঙ্গিতবাহী বক্তব্যে তা খারিজ করে দিলেন। বললেন, ”আপনাদের সকলকে আশ্বস্ত করছি, শুভেন্দু কারও উপর নজরদারি করবে না, কর্মী হিসেবে কাজ করবে। পতাকা লাগাতে বললে, তাইই লাগাব। পার্টি যা নির্দেশ দেবে, সেটাই করব। আমি ছাত্র রাজনীতি করে এসেছি, সব কাজই গুরুত্বপূর্ণ কাজ বলে মনে করি।”বিজেপিতে পা দেওয়ার ঠিক আগের মুহূর্তে অবশ্য তিনি এতদিনকার দলের প্রতি খোলা চিঠি লিখে যাবতীয় অনুভূতির কথা প্রকাশ করেছেন। ৬ পাতার খোলা চিঠিতে ‘আমার প্রিয় অনুগামী’ সম্বোধন করে তিনি স্পষ্ট লিখেছেন, ”নিজেদের রক্ত, ঘাম দিয়ে তৃণমূল যাঁরা তৈরি করেছিলেন, তাঁরাই দলে সবচেয়ে কোণঠাসা, গুরুত্বই পাননি। গত ১০ বছরের দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে ব্যক্তিস্বার্থকে।” দলে পচন ধরেছে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করেছেন তিনি। বাম শাসনের বিরুদ্ধে তাঁর এবং তাঁর দলের লড়াইয়ের কথা উল্লেখ করে শুভেন্দু লিখেছেন, ”বাম সরকার জনবিরোধী হয়ে পড়ছিল ক্রমশ, তাই তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে ফের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিল তৃণমূল। কিন্তু আজ তৃণমূলও সেই পথে হাঁটছে। তাই ফের লড়াইয়ের প্রয়োজন।”এরপর নন্দীগ্রামের নেতা তাঁর একদা সহকর্মীদের জানিয়েছেন, ”আমি তৃণমূল ছাড়ছি না। আমি সেই একই ব্যক্তি যে নিজের বিশ্বাসের উপর দাঁড়িয়ে আরও লড়াইয়ের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। তৃণমূল তার আদর্শচ্যুত হতে পারে, জনসেবার বদলে ক্ষমতায়নে জোর দিতে পারে। কিন্তু আমি আমার বিবেক থেকে সে পথে হাঁটতে পারব না।”
New Hopes New Visions
More Stories
এবার শুভেন্দুর হাতিয়ার ‘জানুয়ারি’ তত্ত্ব
শক্তি দেবীর আরাধনায় পোর্ট ট্রাস্টে চাঁদের হাট
রাজ্য জুড়ে পালিত TMCP এর প্রতিষ্ঠা দিবস , কাল নেত্রীর বার্তার অপেক্ষায় ছাত্রযুবরা