নিজস্ব সংবাদদাতা : পুজোর মণ্ডপ তৈরিতে জাহাঙ্গির শেখের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন রমেন কৈবর্ত। আবার মণ্ডপের সাজসজ্জায় হিন্দু ভাইদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন মুসলিমেরা। বন্দর এলাকায় গঙ্গার ধারে নাদিয়াল থানার অধীনে ১৩টি পুজোয় হিন্দু-মুসলিম মিলেমিশে একাকার। নাদিয়াল থানা এলাকায় মুসলিমেরা সংখ্যাগুরু। সেখানে মেরেকেটে ২০ শতাংশ হিন্দু পরিবার। এলাকার উভয় সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে সদ্ভাব বজায় রাখতে নাদিয়াল থানার উদ্যোগে পিস কমিটি তৈরি হয়েছিল। ওই কমিটিতে হিন্দু-মুসলিম দুই সম্প্রদায়ের মানুষই রয়েছেন। চলতি বছরে ইদুজ্জোহার (বকরি ইদ) দিনে নাদিয়াল এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এলাকার হিন্দু যুবকদের মোটরবাইক নিয়ে টহল দেওয়ার বিরল ছবি দেখা গিয়েছিল। এ বার পুজোর বিসর্জনের দিনে একই ভাবে এলাকায় শান্তি যাতে বজায় থাকে তার জন্য আগেভাগেই সতর্ক পিস কমিটির মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ। লকডাউন, করোনায় বিপন্ন সকলেই। তার উপরে নাদিয়াল থানা এলাকায় বসবাসকারী হিন্দু পরিবারের বেশির ভাগই আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া শ্রেণির। পঞ্চমীর দিন তাঁদের হাতে নতুন জামাকাপড় তুলে দেবে পিস কমিটি। একইসঙ্গে পুজোর ক’দিন গরিব হিন্দু পরিবারের হেঁশেলেরও দায়িত্বও নিতে চলেছেন পিস কমিটির সদস্যেরা। কমিটির তরফে শেখ ওবাইদুর রহমান, মনসুর আলি মোল্লা বা মহম্মদ আলি মোল্লারা বলছেন, “দুর্গাপুজো বাঙালির সেরা উৎসব। লকডাউনে ওঁরা সবাই বিপন্ন। জাতপাতের ঊর্ধ্বে থেকে ওই সব ম্লান মুখগুলোয় আমরা হাসি দেখতে চাই।”
New Hopes New Visions
More Stories
জমজমাট সমকালীন সংস্কৃতির মোহনামুখী নাট্যউৎসব
বড়দিনে সেজে উঠল এলগিন রোড
নন্দনে চলছে ৪র্থ বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব