নিজস্ব সংবাদদাতা : বিজেপির নবান্ন অভিযান আটকাতে ৮ অক্টোবর পুলিশ যে জলকামান ব্যবহার করেছিল, সেই রঙিন জলে করোনা ভাইরাস ছিল বলে দাবি করলেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। এই মর্মে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে চিঠিও দিয়েছে গেরুয়া শিবির। মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই জানিয়েছেন, ব্যারিকেড ভাঙচুরের চেষ্টাকারীদের শনাক্ত করতেই জলের সঙ্গে হোলির রং মেশানো ছিল। তবে সে দাবি মানতে নারাজ গেরুয়া শিবির। বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় দাবি করেছেন ওই জলে এমন কিছু রাসায়নিক মেশানো ছিল যার ফলে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। দলীয় কর্মী-সমর্থকদের ত্বকের ক্ষতি এমনকী ক্যানসারও হতে পারে। কৈলাস বিজয়বর্গীয়র কাছে এই মর্মে চিঠি লিখে রাসায়নিকের প্রকৃতি জানারও দাবি জানিয়েছেন তিনি। বিজেপির এই মিছিলে একসঙ্গে অনেক মানুষের জমায়েত হওয়ায় মান্য হয়নি সামাজিক দূরত্ব। মিছিলে অনেকেই মাস্ক পরিহিত ছিলেন না। ফলে করোনা আবহে করোনা আক্রান্তের একটা আশঙ্কা করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা।আশঙ্কাই সত্যি হয়ে দাঁড়াল। এই অভিযান শেষে বেশ কয়েকজন বিজেপি সদস্য করোনা আক্রান্ত হয়ে পড়েছেন। যদিও বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, জল কামানের রাসায়নিকে করোনা ভাইরাস মেশানো ছিল। যার ফলে আক্রান্ত হয়ে পড়ে বহু কর্মী। গত ৮ অক্টোবর বিজেপি যুব মোর্চার নবান্ন অভিযান ঘিরে কলকাতা ও হাওড়া— দুই শহরেই ধুন্ধুমার বেধে যায়। পুলিশকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি ইটবৃষ্টি, বোমা ছোড়ার ঘটনাও ঘটে। উদ্ধার হল পিস্তল। পাল্টা আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে জলকামানের সঙ্গে চলে পুলিশের লাঠিচার্জ। অনেক জায়গায় পুলিশের সঙ্গে অভিযানকারীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তিও বেধে যায়।
New Hopes New Visions
More Stories
বেহালায় সকাল সকাল দুয়ারে হাজির মেয়র
আগামীর রূপরেখার সূচনা করলো “বেহালা নাগরিক মঞ্চ”
আসুন বেহালায় ,দর্শন করুন মা বৈষ্ণদেবীর মন্দির