নিজস্ব সংবাদদাতা : বিধানসভা ভোটের আগে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর মাস্টারস্ট্রোক ‘স্বাস্থ্যসাথী’ প্রকল্প। রাজ্যের প্রতিটি পরিবারকে স্বাস্থ্যবিমার আওতায় আনার এই প্রকল্প যে অভাবনীয় সাড়া ফেলেছে, সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লাইনে দাঁড়িয়ে আর পাঁচজন সাধারণ মানুষের মতো স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড করিয়েছেন। একুশের ভোটে গেম চেঞ্জার হতে পারে মমতা সরকারের স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প। একথা বলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরাও। সেইসঙ্গে দুয়ারে সরকারের মতো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত কর্মসূচি নিয়ে চিন্তার ভাঁজ গেরুয়া শিবিরের নেতাদের কপালে। ভোট যত এগিয়ে আসছে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের সুবিধা নিয়ে প্রচার বাড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল। ভোটের মুখে ‘দুয়ারে সরকার’ এবং ‘স্বাস্থ্যসাথী’ প্রকল্প নিয়ে এবার রাজ্যবাসীকে খোলা চিঠি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্য বাসীর উদ্দেশ্যে লেখেন, ‘স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে আপনাকে একজন উপভোক্তা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হিসেবে করতে পেরে ও প্রকল্পের অধীন পরিষেবা আপনাকে দিতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। আশা করি, আগামীদিনেও এই প্রকল্পের যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা প্রদান করে আপনার দৈনন্দিন জীবনযাত্রার সামগ্রিক মানোন্নয়নে আরও বেশি করে সামিল হওয়ার সুযোগ পাব।’ স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প নিয়ে আম জনতার মধ্যে বেশকিছু ভুল ধারনা তৈরি হয়েছে। অনেকেই ভাবছেন, এই কার্ড দিয়ে দরকারে পরিষেবা মিলবে তো? দফতরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, সরকার নির্ধারিত বেসরকারি হাসপাতালে এই কার্ড নিয়ে কোনও অসুস্থ ব্যক্তি ভরতি হলে অবশ্যই পরিষেবা মিলবে। সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল যদি কার্ডের বিনিময়ে পরিষেবা দিতে অস্বীকার করে তবে সেই হাসপাতালের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, কার্ড জমা পড়ার একমাসের মধ্যে হাসপাতাল চিকিত্সার খরচ পেয়ে যাবে।
Report by web Desk
Reported on – 08/01/2021
More Stories
আগামীর রূপরেখার সূচনা করলো “বেহালা নাগরিক মঞ্চ”
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ,ক্রেতাদের ভীড় : জমজমাট বাঁকুড়া খাদি মেলা
বাঁকুড়ায় জমে উঠেছে খাদি মেলা