নিজস্ব সংবাদদাতা : বিশ্বভারতীর ভূমিকায় প্রশংসায় পঞ্চমুখ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ১৯২১ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠা করেন। দেশের প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে অন্যতম হল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। পদাধিকার বলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য। বিশ্বভারতীর শতবর্ষের অনুষ্ঠানে নিজের ‘আত্মনির্ভর ভারতে’র চিন্তাধারা আর কবিগুরুর বিশ্বজনীন উন্নয়নের ভাবধারাকে মিশিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বলে দিলেন, ‘গুরুদেব আমাদের স্বদেশী সমাজের সংকল্প গড়ে দিয়েছিলেন। উনি আমাদের গ্রাম, আমাদের সমাজকে আত্মনির্ভর দেখতে চাইতেন। আমাদের শিল্প-বাণিজ্যকে আত্মনির্ভর দেখতে চাইতেন। আমাদের সমাজ এবং সংস্কৃতিকে আত্মনির্ভর দেখতে চাইতেন।’ পৌষমেলার সঙ্গে ‘ভোকাল ফর লোকাল’ স্লোগান একেবারে পরিপূরক বলেও মনে করছেন প্রধানমন্ত্রী। এবারে মহামারীর জন্য পৌষমেলায় যে শিল্পীরা আসতে পারেননি, বিশ্বভারতীর ছাত্রদের তাঁদের পাশে থাকতে অনুরোধ করেন প্রধানমন্ত্রী। পড়ুয়াদের পরামর্শ দেন, অনলাইনে এই শিল্পীদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে। তাঁদের শিল্পকর্মকে গোটা বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে। যাতে এই শিল্পীরা সম্মান পান। অন্যদিকে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষের জন্মদিনে ট্যুইটেই শুভেচ্ছা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লিখলেন, ‘বিশ্ব সাথে যোগে যেথায় বিহারো, সেইখানে যোগ তোমার সাথে আমারও।. বিশ্বভারতী শতবর্ষে পড়ল। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সৃষ্টি ও মানবতার মন্দির এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। আমাদের উচিত্ এই মহান জীবন দর্শনকে সংরক্ষিত রাখা।’ আগামী ২৮ তারিখ বীরভূমে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী। ২৯ তারিখ তাঁর বোলপুরে থাকছে দলীয় কর্মসূচি। সেই সময় উপাচার্য মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। যদিও মুখ্যমন্ত্রী সেই আমন্ত্রণে সাড়া দিচ্ছেন না বলেই জানা গিয়েছে। ওয়াকিবহাল মহলের অভিমত, উপাচার্য কার্যত লোকদেখানো কাজ করে মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। তাই মুখ্যমন্ত্রীও বিশ্বভারতীতে গেলেন না। তবে শান্তিনীকেতনে প্রবীণ কিছু আশ্রমিকের সঙ্গে তিনি দেখা করতে পারেন।
New Hopes New Visions
More Stories
খেলার মাঠ থেকে যুদ্ধক্ষেত্র প্রতিরোধ গড়েছে ইউক্রেন
এক নজরে বিপিন লক্ষণ রাওয়াত
এবার আইপিএলে সঞ্জীব গোয়েঙ্কা, ২০২২ এ ১০ টি দল