নিজস্ব সংবাদদাতা : দেবতা জ্ঞানে পূজিত মূর্তির বিসর্জন হয়। কিন্তু শ্রী বিগ্রহকে ঠাকুরবাড়ির পরিবারভুক্ত সদস্যের মতো পরিচর্যা এবং রক্ষণাবেক্ষণ করতে দেখা যায় পূজারীকে। তাঁদের বিশ্বাস অনুযায়ী সর্বশক্তিমান ঈশ্বর বিরাজ করেন ওই বিগ্রহের মধ্যে। তাই তিন বেলা নিত্যসেবা, শয়ন, বছরের বিভিন্ন শুভক্ষণে বিশেষ ধরনের খাদ্য প্রস্তুত করে নিবেদন করা হয়। ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে, পোশাকেরও তারতম্য লক্ষ্য করা যায়। আসন্ন রাস পূর্ণিমার শুভক্ষণ উপলক্ষে শনিবার থেকে ধাতব বা পাথরের বিগ্রহর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়। পাশাপাশি চক্ষুঅঙ্কন, রংলেপন করার মাধ্যমে নবরূপে সুসজ্জিত করা হয় বিগ্রহকে। তবে জনসমক্ষের অলক্ষ্যে শুদ্ধ বস্ত্র পরে, উপোস থেকে নিষ্ঠাভরে এ কাজ করে থাকেন বংশ পরম্পরায়। এ কাজের জন্য শুধুমাত্র শিল্পদক্ষতা থাকলেই চলে না, প্রয়োজন অগাধ বিশ্বাস এবং ভক্তি। এটাই হল গোপালপুরের সাহা বাড়ির বিগ্রহর অঙ্গরাগ অর্থাৎ সাজসজ্জা। এবিষয়ে ওই বাড়ির সেবাইত জহর সাহা জানালেন, প্রায় ২৭০ বছর ধরে পূজিত হয়ে আসছেন রাধা কৃষ্ণ। প্রায় ৭০ বছর আগে আসল কষ্টি পাথরের শ্রীকৃষ্ণ এবং অষ্টধাতুর রাধা মূর্তি চুরি গিয়েছিল। গত বছরেও বিগ্রহর বিভিন্ন মূল্যবান অলঙ্কার চুরি যায়। ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতা সম্পর্কে সরকার সদর্থক ভূমিকা গ্রহণ না করলে, নিরাপত্তার অভাবে এভাবেই হারিয়ে যেতে পারে জগৎ বিখ্যাত শান্তিপুরের ঐতিহ্য।
New Hopes New Visions
More Stories
আসুন বেহালায় ,দর্শন করুন মা বৈষ্ণদেবীর মন্দির
শেষ হল রাজ্য খাদি মেলা , মেলায় বিক্রি প্রায় ৬ কোটি
খাদি মেলার শেষ রবিবারে জমজমাট ভীড় , আজ শেষ দিন