নিজস্ব সংবাদদাতা : আগামী ৭ জানুয়ারি নন্দীগ্রামের তেখালিতে জনসভা করতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০০৭ সালে ৭ জানুয়ারির ওই দিনই নন্দীগ্রামের তিন আন্দোলনকারীর মৃত্যু হয়। সেই দিনটিকে স্মরণ করে প্রতি বছর শুভেন্দু অধিকারী স্মরণ অনুষ্ঠান করতেন। শুভেন্দু দল ছাড়ার পর নন্দীগ্রামে এটাই প্রথম সভা হতে চলেছে তৃণমূল সুপ্রিমোর। এদিকে শুভেন্দুও নিজের কর্মসূচির কথা ঘোষণা করে দিয়েছিলেন গত ১০ নভেম্বর। নন্দীগ্রাম আন্দোলনে ১৪ মার্চ, ১০ নভেম্বর, ৭ জানুয়ারি- এগুলি উল্লেখযোগ্য দিন। শুভেন্দু সব কটি দিনেই নন্দীগ্রামে কোনও না কোনও কর্মসূচি করেন। কিন্তু অন্যবারের তুলনায় এবার পরিস্থিতি একেবারে ভিন্ন। শুভেন্দু এখন বিজেপি নেতা। সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুড়ছেন মমতার বিরুদ্ধে। আর মমতাও যেন ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে বুঝে নিতে চাইছেন। হতে পারে সেই কারণেই একই দিনে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে নন্দীগ্রামের মাটিতে মুখোমুখি হতে চলেছেন শুভেন্দু-মমতা। বুধবার রাতে তৃণমূল সূত্রে জানা গেল, ওইদিন দুপুরেই তেখালি ব্রিজ সংলগ্ন মাঠে সভা করতে যাচ্ছেন দিদি। হেলিকপ্টারে কলকাতা থেকে নন্দীগ্রাম যাবেন মমতা। তৃণমূল নেতা শেখ সুফিয়ান বলেন, ‘দলনেত্রীকে অনুরোধ করা হয়েছিল ৭ জানুয়ারি নন্দীগ্রামে আসার জন্য। তাতে ছাড়পত্র মিলেছে।’ সুফিয়ানের দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমাবেশে সেদিন জনপ্লাবনে ভেসে যাবে নন্দীগ্রাম। শুভেন্দু রাজ্যের মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী মেদিনীপুরের কলেজ মাঠে একটি সভা করেছিলেন। দিনকয়েকের মধ্যেই ওই মাঠেই অমিত শাহের হাত থেকে বিজেপির পতাকা তুলে নেন শুভেন্দু। তবে মেদিনীপুরের সভায় তিনি একবারও শুভেন্দুর নাম নেননি। তবে নন্দীগ্রামের সভা থেকে তিনি দলত্যাগী এই নেতার নাম নেন কিনা সেদিকে নজর থাকবে গোটা রাজ্যের।
New Hopes New Visions
More Stories
এবার শুভেন্দুর হাতিয়ার ‘জানুয়ারি’ তত্ত্ব
শক্তি দেবীর আরাধনায় পোর্ট ট্রাস্টে চাঁদের হাট
রাজ্য জুড়ে পালিত TMCP এর প্রতিষ্ঠা দিবস , কাল নেত্রীর বার্তার অপেক্ষায় ছাত্রযুবরা