নিজস্ব সংবাদদাতা : ষষ্ঠীর দিন গরদের ধুতি-পাঞ্জাবি পরে দিল্লিতে বসেই ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কলকাতার পুজো উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভাষণও দিলেন বাংলায়। দূর্গাপুজো সম্পর্কে ভাষণ দিতে গিয়ে, পশ্চিমবঙ্গবাসীকে শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে বলেন, ‘আমি রয়েছি নয়াদিল্লিতে। করোনা পরিস্থিতির কারণে ভার্চুয়ালি এই শুভেচ্ছা জানাতে হচ্ছে। কিন্তু আমার মনটা রয়েছে বাংলায়। মা দূর্গা এমন একটা শক্তি, এই শক্তির সকলের মনকে উদ্বুদ্ধ করে। বাংলার মানুষকে দুর্গাপুজোর অভিনন্দন জানিয়ে লোকনাথ বাবা, অনুকূল ঠাকুরের নাম স্মরণ করেন তিনি। তাঁর মতে, শরত্চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম নিলেই অন্তরে বিশেষ অনুভূতির সৃষ্টি হয়। বিজ্ঞানে জগদীশচন্দ্র বসু, সত্যেন্দ্রনাথ বসুর নাম নেন প্রধানমন্ত্রী। সিনেমা জগতে ঋত্বিক ঘটক, সুচিত্রা সেনের মতো শিল্পীদের অবদানও উল্লেখ করেন তিনি।মায়ের পুজোর আবহে প্রধানমন্ত্রী মনে করিয়ে দিলেন, মহিলাদের জন্য কেন্দ্র কী কী পদক্ষেপ করেছে। ২২ লক্ষ মহিলার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। মাতৃত্বকালীন ছুটি বাড়ানো হয়েছে। ১২ সপ্তাহ থেকে ২৬ সপ্তাহ করা হয়েছে। ‘বেটি বাচাও বেটি পড়াও’ প্রকল্পে জোর দেওয়া হয়েছে। এসবের মাঝে ‘বাংলার মাটি, বাংলার জল’ কবিতার দু’ লাইনও বলেছেন তিনি। ষষ্ঠীর সকালে মহানিন্দুকও দাবি করতে পারবেন না, প্রধানমন্ত্রী একটিও রাজনৈতিক কথা বলেছেন! যেন তিনি এদিন বাংলারই একজন হয়ে এলেন। তাঁর কথায় একদিকে যেমন ছিল স্বাধীনতা আন্দোলনে বাংলার অবদান, তেমনই ছিল বাংলার মণীষীদের প্রতি সম্মানজ্ঞাপন। তিনি এদিন যেন বাঙালি হয়েই এলেন। আকাশের মুখ যতই ভার থাকুক না কেন, ষষ্ঠীর সকালে তিনিই যেন হাসিমুখে বাংলাকে মন শক্ত রাখার মন্ত্র শিখিয়ে গেলেন।
New Hopes New Visions
More Stories
বলিউডে পা রাখছেন শাহরুখ কন্যা ও অমিতাভের নাতি
পণ্ডিত শিবকুমার শর্মা প্রয়াত ভেঙে গেল ‘শিব-হরি’ জুটি
প্রথম শো -তেই সুপারহিট নাটক ” সঙ্গিনী “