সাঁতরাগাছির পাখিরালয়ে পরিযায়ী পাখির সংখ্যা বাড়ার সম্ভাবনা

নিজস্ব সংবাদদাতা : এবছর সাঁতরাগাছি পাখিরালয়ে পরিযায়ী পাখির সংখ্যা বাড়তে পারে বলে মনে করছেন পক্ষী গবেষকরাও। এই বিষয়ে পক্ষী গবেষক তথা শ্যামপুর সিদ্ধেশ্বরী মহাবিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক প্রসেনজিৎ দাঁ জানান, বর্তমানে কোভিড অতিমারীর পরিস্থিতিতে মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা, গাড়িঘোড়ার ব্যবহার, কল-কারখানার কাজকর্ম বেশ কিছুদিন যাবৎ বন্ধ থাকার কারণে পারিপার্শ্বিক দূষণের পরিমাণ কিছুটা কম হয়েছে। সেটা সবাই বুঝতেও পারছে। সেই একই কারণে বেশ কিছু পাখির স্বভাবেও পরিবর্তন দেখতে পেয়েছি। যেমন যে পাখিগুলিকে আগে লোকালয়ে খুব বেশি দেখা যেত না তাদের দেখা গিয়েছে অথবা বেশ কিছু নতুন পাখি খুঁজে পাওয়া গিয়েছে আশপাশে। শীত প্রায়ই এসে গেল। শীতের শুরু থেকেই প্রত্যেক বছরের মতো এবারেও সাঁতরাগাছিতে পাখি আসা নিয়ে সবাই আশাবাদী এবং প্রত্যেক বছরের মতো এবছরেও সাঁতরাগাছি ঝিলের কচুরিপানা পরিস্কারের কাজ যথাসময়ে শুরু করা হয়েছে৷ পরিযায়ী পাখিদের জন্য ভাসমান দ্বীপ তৈরির কাজ সময়ের মধ্যেই শেষ করা হয়েছে। খুশির খবর এই যে ইতিমধ্যেই সাঁতরাগাছিতে লেসার হুইসলিং ডাক চলে এসেছে। এই বছর পাখির সংখ্যা অনেকটাই বেশি হবে যা বিগত পাঁচ ছয় বছরের সংখ্যাকে অনেকটাই পেরিয়ে যাবে। দূষণের পরিমাণ কম হওয়া অথবা বর্তমান প্যানডেমিক পরিস্থিতির জন্য মানুষের ক্রিয়া-কলাপ সীমিত থাকাকে পাখির সংখ্যা বৃদ্ধির কারণ হিসেবে ধরে নেওয়া যায় কিনা এখনই বলা সম্ভব নয় কিন্তু এর সম্ভাবনা থেকেই যায়। বিগত পাঁচ ছয় মাস মাসে পরিবেশের পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে সেটা সবার জানা এবং খুব সম্ভবত সেই কারণে এবছর পাখির সংখ্যা বেশ খানিকটা বেশি হবে বলে আশা করা হচ্ছে৷ আরেকটি কারণ অবশ্যই সঠিক সময়ের মধ্যে যথাযথ উপায়ে এই সাঁতরাগাছি ঝিলের সংস্কারের কাজ সম্পন্ন করা, বিগত কয়েক বছর ধরে যে কাজটি নেচার মেটস নামক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা করে আসছে এবছরেও তারা যথাসময়ে পাখিদের জন্য ভাসমান দ্বীপ তৈরি এবং কচুরিপানা পরিস্কারের কাজ শেষ করেছে৷ যার ফলে অন্য বছরের তুলনায় বেশ খানিকটা আগেই অনেক বেশি সংখ্যায় পরিযায়ী পাখিদের ইতিমধ্যেই সাঁতরাগাছি ঝিলে আসতে দেখা গিয়েছে এবং আশা করা যাচ্ছে শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আগামী ১ – ২ মাসের মধ্যে পাখির এই সংখ্যাটা আরও অনেকটাই বেড়ে যাবে।