নিজস্ব সংবাদদাতা : গৌরব ভাসান নামে এক ব্যক্তি বুধবার কান্তা প্রসাদ এবং বাদামি দেবীর জীবনকাহিনী তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন। ভিডিওয় কাঁদতে কাঁদতে কান্তা প্রসাদকে বলতে শোনা যায়, ১৯৯০ সাল থেকে প্রতিদিন সকাল ৬.৩০ মিনিটে উঠে পরোটা, ডাল, দুতিন রকমের তরকারি এবং ভাত নিজেরাই বাড়িতে বানিয়ে সকাল ৯.৩০ নাগাদ ধাবা খোলেন। লক ডাউনের বাজারে সকাল ৯.৩০ থেকে গত চার ঘণ্টায় মাত্র ৫০ টাকা রোজগার করতে পেরেছেন। সারা দিনে ৩০-৫০টি প্লেটের বেশি খাবার বিক্রি করতে পারেন না তাঁরা। দিনের শেষে যা আয় হয় তার অর্ধেকই আগামী দিনের খাদ্যসামগ্রী কিনতে বেরিয়ে যায়। দুই ছেলে এবং এক মেয়ে, কেউ তাঁদের দেখভাল করে না।গ্রাহক শূন্য মালভিয়া নগরের ‘বাবা কা ধাবা’-র সেই ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়। এবার ভাইরাল হওয়া ‘বাবা কা ধাবা’র পাশে দাড়ালো ZOMATO । জোমাটো এক ট্যুইট বার্তায় জানিয়েছে বাবা কা ধাবার খাবার ডেলিভারির দায়িত্ব নিচ্ছে zomato. শুধু তাই নয়- তারা জানিয়েছে দেশের কোথাও যদি এমন কোন দোকান থাকে তাদের সাহায্যের জন্যও এগিয়ে আসবে। এইজন্য একটি লিঙ্ক শেয়ার করেছে, যেখানে আপনিও এমন দোকানের সন্ধান তাদের জানাতে পারেন। https://www.zomato.com/addrestaurant সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে আজ সেই ছোট দোকানের সামনে গ্রাহক ছাড়াও বিজ্ঞাপন কোম্পানিগুলির ভিড়। দক্ষিণ দিল্লির মালভিয়া নগরের ওই ধাবায় পৌঁছে যান বেশ কিছু বড় বিজ্ঞাপন কোম্পানির কর্তারা, ওই ধাবার প্রচার এবং ধাবার সামনে বিজ্ঞাপন ব্যানারের জন্য। দোকানের সামনে অনেক পথচলতি মানুষ দাঁড়িয়ে সেলফি তুলেছেন । গাড়ি থামিয়ে খাবার কিনছেন। দোকানের সামনে বিজ্ঞাপনে মুড়ে গিয়েছে। দোকানের সামনে কোভিড বিমার মতো কিছু ছোট কাউন্টারও খুলে গিয়েছে। বৃদ্ধ দোকানদার কান্তা প্রসাদ জানান- “লকডাউন চলাকালীন কোনও বিক্রি হয়নি তবে এখন মনে হচ্ছে পুরো ভারত আমাদের সঙ্গে রয়েছে”
New Hopes New Visions
More Stories
খেলার মাঠ থেকে যুদ্ধক্ষেত্র প্রতিরোধ গড়েছে ইউক্রেন
এক নজরে বিপিন লক্ষণ রাওয়াত
এবার আইপিএলে সঞ্জীব গোয়েঙ্কা, ২০২২ এ ১০ টি দল