নিজস্ব সংবাদদাতা : গত ২ নভেম্বর থেকে স্কুল চালু করা হয়েছিল উত্তরাখণ্ডে। আর তার পাঁচ দিনের মধ্যেই ৫টি ব্লকের ৮৪টি স্কুল বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল সেরাজ্যের সরকার। স্কুল খোলার জেরে নতুন করে ৮০ জন শিক্ষক করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর আসার পরই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।অন্ধ্রপ্রদেশেরও একই অবস্থা।স্কুল খুলেছে মাত্র তিনদিন হয়েছে। তাও চালু হয়েছে শুধুমাত্র নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেনির পঠনপাঠন। উপস্থিতি অর্ধেকেরও কম। তাতেই গত তিনদিনে অন্ধ্রপ্রদেশে অন্তত ৫৭৫ জন শিক্ষার্থী এবং ৮২২ জন শিক্ষক কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন।কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশিকা মেনে গত ২ নভেম্বর থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি ফের চালু করা হয়েছিল এই রাজ্যে। ২৩ নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির ক্লাস এবং ডিসেম্বরের ১৪ তে শুরু হচ্ছে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির ক্লাস।অন্ধ্রের শিক্ষা বিভাগ জানিয়েছে , রাজ্যে নবম ও দশম শ্রেণির নিবন্ধিত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৯.৭৫ লক্ষ। গত তিনদিনে তার মধ্যে স্কুলে এসেছে গড়ে মাত্র ৩.৯৯ লক্ষ শিক্ষার্থী। অর্থাত্ ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতি ছিল ৪০ শতাংশের কিছু বেশি। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি পুনরায় চালু করার পরে কোভিড সংক্রমণের সংখ্যা বিপুল হারে বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য সরকার কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। সরকারি স্কুলগুলিতে করোনা রুখতে প্রথম থেকেই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, বেসরকারি ক্ষেত্রেও কোভিড নির্দেশিকাগুলি অনুসরণ করে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।যদিও বিষয়টি নিয়ে অন্ধ্রের স্কুল এডুকেশন কমিশনার বিশেষ উদ্বিগ্ন নন, কারণ তাঁর মতে রাজ্যের মোট ছাত্রছাত্রী এবং শিক্ষক-শিক্ষিকা যাঁরা স্কুলে যাচ্ছেন, সেই সংখ্যার নিরিখে করোনা আক্রান্তের সংখ্যাটা নিতান্তই সামান্য। এও জানানো হয়, পড়ুয়া ও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের জন্য সমস্তরকম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, স্কুলে মানা হচ্ছে ক্রোভিড প্রোটোকল।
New Hopes New Visions
More Stories
খেলার মাঠ থেকে যুদ্ধক্ষেত্র প্রতিরোধ গড়েছে ইউক্রেন
বিরাটের জন্য আবেগঘন পোস্ট অনুষ্কার
একেই বলে ‘লিডিং ফ্রম দ্য ফ্রন্ট’