নিজস্ব সংবাদদাতা : গত নয় মাস ধরে টানা সাইবার হানা চালিয়েছে হ্যাকাররা। তারপরও কোনও ক্ষতি হয়নি মার্কিন পরমণু অস্ত্র ভাণ্ডারের। এনার্জি ডিপার্টমেন্টের অধীনেই রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ও দামি পরমাণু অস্ত্রগুলি। এফবিআই সূত্র উদ্ধৃত করে মার্কিন সংবাদমাধ্যমে খবর, প্রবল চেষ্টা চালালেও পরমাণু অস্ত্র ভাণ্ডারের তথ্য হ্যাকাররা চুরি করতে পারেনি বা হাতিয়ে নিতে পারেনি। বিষয়টি নিয়ে বিদায়ী প্রসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কোনও মন্তব্য করেননি। তবে বিষয়টিকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিয়ে সুরক্ষার আশ্বাস দিয়েছেন ‘প্রেসিডেন্ট ইলেক্ট’ জো বাইডেন।আমেরিকার বিভিন্ন সরকারি দফতরে বেশ কিছু দিন ধরেই সাইবার হানা নিয়ে গুঞ্জন উঠেছে। কিন্তু সবচেয়ে দুশ্চিন্তার বিষয় হল, হ্যাকারদের উদ্দেশ্য ঠিক কী ছিল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। ফলে কোন দফতরের কী তথ্য চুরি গিয়েছে বা আদৌ কিছু খোয়া গিয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। হ্যাকিংয়ের কোনও প্রত্যক্ষ প্রভাব এখনও পড়েনি। তবে অদূর ভবিষ্যতে যে পড়বে না, তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তবে কী ভাবে ম্যালওয়্যার ঢুকিয়ে তথ্য হাতানোর চেষ্টা হয়েছিল, তদন্তে তা নিয়ে এক প্রকার নিশ্চিত হয়েছেন গোয়েন্দারা। বিভিন্ন সরকারি দফতরে প্রায় ১৮ হাজার সফটওয়্যার দিয়েছে ‘সোলার উইন্ডস ওরিয়ন’ নামে একটি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা। মার্চ মাসে ওই সফটওয়্যারে প্রযুক্তিগত ত্রুটির জন্য কাজে সমস্যা হচ্ছিল। তখন ওই সফটওয়্যারগুলির আপডেট চাওয়া হয়েছিল অনলাইনেই। সেই আপডেটের সময়েই ওই ম্যালওয়্যার ঢুকে পড়েছিল।এর পিছনে কোনও ব্যক্তি, নাকি কোনও দেশ রয়েছে, তা নিয়ে বিস্তর ধোঁয়াশা। প্রাথমিক ভাবে সন্দেহের তির রাশিয়ার দিকে। যদিও ওয়াশিংটনে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছেন, সাইবার তথ্যের উপর নজরদারি বা গুপ্তচরবৃত্তি করে না তাঁদের দেশের সরকার।
New Hopes New Visions
More Stories
খেলার মাঠ থেকে যুদ্ধক্ষেত্র প্রতিরোধ গড়েছে ইউক্রেন
এক নজরে বিপিন লক্ষণ রাওয়াত
এবার আইপিএলে সঞ্জীব গোয়েঙ্কা, ২০২২ এ ১০ টি দল