নিজস্ব সংবাদদাতা : রাজ্যে বড়সড় ভাঙন মিমের সংগঠনে। দিন কয়েক আগে একাধিক প্রভাবশালী নেতা নাম লিখিয়েছিলেন ঘাসফুল শিবিরে। এ দিন সদলবদলে তৃণমূলে যোগ দিলেন মিমের যুব দলের রাজ্য সভাপতি সফিউল্লাহ খান। তাঁর দাবি, রাজ্যের ২৩ জেলায় মিমের ১০ লক্ষ সদস্য রয়েছেন। সব জেলার সভাপতিই তৃণমূলে যোগ দিলেন। ফিরহাদ হাকিম বলেন,’মমতার হাত শক্ত করতে ভোট ভাগাভাগি ঠেকাতে তাঁরা তৃণমূলে এলেন।’ বিহার নির্বাচনে ভোট কাটাকাটিতে আসাদউদ্দিন ওয়েইসির দলের ভাল ফল হয়েছে। সেই সাফল্যের উপর ভর করে ওয়েইসির দল এ রাজ্যে সংখ্যালঘু ভোট টানতে একুশের নির্বাচনে লড়াইয়ের আগ্রহী। বিভিন্ন সংখ্যালঘু অধ্যুষিত জেলাগুলিতে সংগঠনে জোর দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন এ রাজ্যে মিমের সম্পাদক অসীম ওয়াকার। তবে তাঁর সেই আশায় জল ঢেলে দিন কয়েক আগেই দলের বেশ কয়েকজন নেতা, সদস্য যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলে। এবার যুব সংগঠনও হাঁটল সে পথেই। তবে এদিন যুব সংগঠনের অধিকাংশ সদস্যই শাসক শিবিরে যোগদান করায় কার্যত বিপাকে AIMIM। AIMIM-এর যুব সভাপতি তথা অনূর্ধ্ব-১৯ টুর্নামেন্টে খেলা ক্রিকেটার সফিউল্লা খানের বক্তব্য, ‘আমরা যদি এ রাজ্যে আলাদাভাবে প্রার্থী দিই, নিজেদের দলকে জেতানোর জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ি, তাহলে বিজেপিকেই সুবিধা করে দেওয়া হবে। তাই আমরা তৃণমূলের সঙ্গে একসঙ্গে লড়াই করব। তাতে সংখ্যালঘু ভোট ভাগাভাগি হবে না, একত্রিত থাকবে।’ সূত্রের খবর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বাংলাভাষী মুসলিমদের টার্গেট করেছে মিম। মুর্শিদাবাদ, মালদহ ও উত্তর দিনাজপুর, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় আসাউদ্দিনের দলের সংগঠন বাড়ছে। অতিসম্প্রতি একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে মিমে মুখপাত্র অসীম ওয়াকার জানিয়েছেন,”বিহারের পর আমাদের লক্ষ্য পশ্চিমবঙ্গ। ”
New Hopes New Visions
More Stories
বাঁকুড়ার খাদি মেলার আজ শেষ দিন
জমে উঠেছে বাঁকুড়ার খাদি মেলা চলবে ২০ তারিখ পর্যন্ত
১৪৪ এর রক্তদান উৎসব নজির গড়ল রেকর্ড সংখ্যক রক্তদাতার